চন্দ্রযান, গগনযান এখন অতীত! এবার গভীর সমুদ্রের অভিযান চালাবে ISRO, শুরু হবে দুর্ধর্ষ মিশন

চন্দ্রযান, গগনযান এখন অতীত! এবার গভীর সমুদ্রের অভিযান চালাবে ISRO, শুরু হবে দুর্ধর্ষ মিশন

চন্দ্রযান, গগনযান এখন অতীত!
এবার গভীর সমুদ্রে অভিযান চালাবে ISRO!

চাঁদ, সূর্যকে বিদায় জানিয়ে
অতল সাগরে ক্যালমা দেখাবে ইণ্ডিয়া!

জলের নীচেই শুরু হবে দুর্ধর্ষ মিশন!
আবিষ্কার হবে নতুন নতুন রহস্য!

কি নাম এই মিশনের?
কীভাবে শুরু হবে এই এডভেঞ্ছার?

ফের নতুন অভিযানে ISRO। তবে এবার চাঁদ বা সূর্য নয়, অভিযান ছিল পৃথিবীর অন্দরেই। হ্যাঁ!ঠিকই শুনছেন এবারে অতল সমুদ্রের রহস্য সন্ধান করবে ইসরো। চন্দ্রযান, সূর্যযানের পর এবার সমুদ্রযান। খুব তাড়াতাড়ি এই মিশনের ট্রায়াল শুরু করতে চলেছে ISRO। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে এই যন্ত্রটি। বিশেষ এই যানের নাম ‘মৎস্য ৬০০০’। এটি একটি সাবমার্সিবল, যা টাইটানিয়াম মিশ্রণ দিয়ে গঠন করা হয়েছে। বিশেষ এই যন্ত্র ৬০০০ মিটার গভীরতায় সমুদ্রপৃষ্ঠের ৬০০ গুণ চাপ সহ্য করতে সক্ষম। এর ব্যাস ২.১ মিটার। আশা করা যাচ্ছে, এই ডুবোজাহাজের মাধ্যমে ৩ জনকে ১২ ঘন্টার জন্য ৬ হাজার মিটার পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে পাঠানো যাবে।

এ ছাড়াও, এতে রয়েছে ৯৬ ঘন্টার জরুরি ব্যবস্থাপনা। আশা করা যাচ্ছে,আগামী ২০২৬ সালের মধ্যেই চালু হবে এই মিশন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জাপান, ফ্রান্স ও চীনের পর ষষ্ঠ দেশ হিসেবে এই কৃতিত্ব গড়বে ভারত। বিশেষ এই যান, সমুদ্রের নিচের প্রকৃতি ও জীবৈচিত্র্য নিরীক্ষণ করবে। সমুদ্রের পেটে লুকিয়ে থাকা নানান মূল্যবান ধাতুরও সন্ধান দেবে এই যান।
প্রায় দুই বছর সময় লেগেছে এই ‘মৎস্য ৬০০০ ‘ তৈরি করতে। আগের অনেক দূর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে, এর নকশাতে দেওয়া হয়েছে বিশেষ নজর। তবে, এই যান তৈরি করে কার্যত গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ভারত। তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশের এমন সাফল্যে কার্যত হতবাক সকলে।

চন্দ্রযান, সূর্যযানের পর ফের একবার যদি এই মিশনেও ISRO সফল হয়। তাহলে যে, ফের এক নতুন ইতিহাসের সৃষ্ঠি হবে তা বলাই বাহুল্য।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *