কুকুর

কুকুরের মতো প্রভু ভক্ত প্রাণী আর দুটো নেই। এদের মতো নিঃস্বার্থ ভালবাসতে পারে না কেউই। তাই কম বেশি সকলেই কুকুর খুবই ভালোবাসে। এমনকি এখনকার দিনে দাঁড়িয়ে আশপাশের মানুষদের ব্যবহার এবং হাবভাব দেখে অনেকেই বলতে থাকেন এর থেকে কুকুর হয়ে জন্মানো হয়তো অনেক ভালো। কিন্তু এই মুখের কথাকেই  এবার বাস্তবে পরিণত করে দেখালেন এক জাপানি যুবক।

ছোট থেকে কুকুরের প্রতি অগাধ ভালোবাসা থেকেই  মানুষের খোলস ছেড়ে এবার কুকুরের বেশ ধারণ করে তিনি নেমে পড়লেন রাস্তায়। তবে তার জন্য অবশ্য তাকে খরচ করতে হয়েছে মোটা অংকের টাকা। তবে মানুষ থেকে কুকুর হওয়ার জন্য কিন্তু শরীরে কোনও সার্জারি করাননি টোকো। তবে কুকুর সাজার জন্য  তিনি যোগাযোগ করেছিলেন একটি জনপ্রিয় কস্টিউম ডিজাইনিং সংস্থার সঙ্গে। এই সংস্থার কাছে তার আবদার ছিল একটাই, তা হল এমন একটি কস্টিউম বানিয়ে দিতে হবে, যা পরলে তাঁকে অবিকল আসল  কুকুরের মতোই দেখতে লাগবে।

এরপর আর কি, যেই কথা সেই কাজ! একেবারে কুকুরের আদলে তৈরী এই স্পেশাল এফেক্ট পোশাকটি  তৈরি করতে সময় লেগেছিল পুরো ৬ মাস। সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল এই জাপানি যুবককে কুকুরের বেশে  ঘুরে বেড়ানোর ছবি এবং ভিডিও। মানুষ থেকে কুকুরের বেশে জীবনধারণ করতে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা খরচ করে টাকো এখন হয়েছেন রাফ কুলার কুকুর। মানুষ হয়ে বোধ হয় বাঁচতে আর ভালো লাগছে না! তাই এখন কুকুরের বেশেই রাস্তায় বেরোন তিনি। এমনকি এই বেশেই দিব্যি মিশেও যাচ্ছেন পথ কুকুরদের সাথে।

শুধু তাই নয়, ওই পোশাক পরে কুকুরের মতো আচরণও করছেন তিনি। পুরোপুরি  কুকুর হয়ে ওঠার জন্য নকল ‘ডগ ফুড’ বা কুকুরের খাবারও খাওয়া অভ্যাস করেছেন তিনি। কুকুরের মতো চলাফেরা করতেও শিখেছেন। এখানেই শেষ নয় কুকুরের বেশে থাকা টোকোর শখ হয়েছে, সিনেমায় অভিনয় করার। তবে নায়ক নয় বড় পর্দাতেও কুকুরই হতে চাইছেন তিনি। ভিডিয়োতে এদিন টোকো বলেছেন, ‘‘আমি এখন প্রেমিকার সন্ধানে রয়েছি। আমাকে যিনি কুকুরের সাজেই পছন্দ করবেন, ভাল বাসবেন, আমি এমন মহিলার খোঁজ করছি। কুকুরের সাজে সাজতে হবে তাঁকেও। মহিলারা চাইলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন, আমি অপেক্ষায় আছি।’’

যদিও তার এই কুকুর সেজে থাকা পছন্দ করেন না তার বাড়ির লোকজন। হাসাহাসি করে বন্ধুরাও। তাই জনসমক্ষে কুকুর সাজা নিয়ে কথা না বললেও কুকুর সাজতে তার খুবই ভাল লাগে বলে জানিয়েছেন জাপানি এই যুবক।

 


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *