এবার শাড়ি বেচতে গিয়েই চরম ট্রোল্ড রান্নাঘরের সুদীপা! সোনার দামে বিকোচ্ছেন শাড়ি,এক একটি শাড়ি কিনতে বেচতে হবে কিডনি
এবার শাড়ি বেচতে গিয়েই
চরম ট্রোল্ড রান্নাঘরের সুদীপা!
সোনার দামে বিকোচ্ছেন শাড়ি!
এক একটি শাড়ি কিনতে
বেচতে হবে কিডনি!
সুদীপার শাড়ির দাম শুনলে
লজ্জায় পড়বে নীতা আম্বানিও!
ঠিক কত টাকায়
শাড়ি বিক্রি করছেন সুদীপা?
শুনলে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে
নতুন যুগের নতুন ট্রেন্ড হল ট্রোল। কিছু একটা হলেই এখন ট্রোল হতে হয়। তা সে সাধারণ মানুষই হোক কিংবা সেলিব্রিটি। এদিন তেমনই ট্রোলিংর স্বীকার হলেন টলিউড অভিনেত্রী তথা সঞ্চালক সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও ডেলিভারী বয়-দের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য হোক কিংবা শাড়ির দাম, সবেতেই বিদ্রুপের মুখে পড়েন এই অভিনেত্রী। এবার তেমনই লাখ টাকার শাড়ি বিক্রির জন্য ট্রোল্ড হতে হল তাকে।
এমনিতেই সুদীপা চট্টোপাধ্যায় একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। জি বাংলা- র বিখ্যাত রান্নাঘর শো’তে করেছেন দীর্ঘদিন সঞ্চালনা। তবে তার পাশাপাশি তার নিজস্ব খাবার এবং শাড়ির ব্যবসাও রয়েছে। আর এই শাড়ি ব্যবসার জেরেই চরম কটাক্ষের শিকার হতে হল তাকে।
তার দোকান “সুদীপা চ্যাটার্জি’স স্টোরের কথা হয়তো অনেকেই জানেন। রকমারি শাড়ির সম্ভার নিয়ে সুদীপা লাইভেও আসেন মাঝে মাঝে। তেমনি সামনে পুজো উপলক্ষে তিনি আনছেন একের পর এক নতুন কালেকশন। তবে সেই সকল শাড়ির দাম আকাশছোঁয়া। এককথায় সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। তবে ,এদিন তিনি কিছু অরিজিনাল জামদানি ছবি পোস্ট করেন বিক্রির উদ্দেশ্য। ক্যাপশনে লেখেন “ঢাকাই জামদানি শাড়ি। পুরো অরিজিনাল বাংলাদেশের শাড়ি। আজ রাতেই চলে যাবে ফেরত। আর এই অল্প কটা বাকি রয়েছে। যদি কারো পছন্দ হয়, এক্ষুনি পেমেন্ট করতে হবে।” তবে সেই সকল শাড়ির পাশেই লেখা দাম হল ৫৫,০০০ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার অব্দি। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ নেট নাগরিকদের।
আর এর প্রত্যুত্তরেই নানা রকম কটাক্ষের শিকার হতে হয় সুদীপাকে। অনেকেই লেখেন ‘আজ রাতের পেলেনে না টেরেনে, কিসে করে শাড়িগুলো যাবে!’ আবার একজন লিখেছেন, ‘ফেরত চলে যাওয়াই ভালো বুঝলেন তো।’ কেও আবার লিখেছেন, ‘মশলাপাতি হাঁড়িকড়াই নিয়েই তো ভালো ছিলেন, আবার এসব শাড়ি বিজনেস করতে গেলেন কেন! এইরকম দামে শাড়ি বেচার মতো ফেসভ্যালু আপনার নেই।’ আবার সুদীপার শাড়িকে সোনার দামের সঙ্গেও তুলনা করেছেন। আবার একজন কেউ লিখেছেন, ‘যাই কিডনিটা বেচে আসি।’ তবে অনেকেই এই বিষয়ে সুদীপার পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের বক্তব্য, ” কাউকে তো জোর দেওয়া হয়নি শাড়ি কেনার জন্য। বিক্রি করছেন তাই সকলকে ইনফর্ম করছেন। না পোষালে নেবেন না। এত খারাপ কথা বলছেন কেন?”
যদিও বা একজনের প্রত্যুত্তরে সুদীপা লেখেন ‘সব বিক্রি হয়ে গেছে।’ তবে উত্তর- পাল্টা প্রত্যুত্তরে এদিন যে নেটপাড়া সরগরম হয়ে উঠেছিল তা বলাই বাহুল্য।
Leave a Reply