পাকিস্তানের দামি বাড়ি

বর্তমানে চরম অর্থনৈতিক সংকটে ধুঁকছে পাকিস্তান। এরইমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে এই দেশের সব থেকে ‘দামি বাড়ি’ বিক্রির বিজ্ঞাপন। যদিও পাকিস্তানের এই দামি বাড়ির সাথে কিন্তু বিস্তর ফারাক রয়েছে ভারতের সব থেকে দামি বাড়ির। ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ অম্বানীর বাড়ি অ্যান্টিলিয়াকেই ভারতের সব থেকে দামি বাড়ি বলা হয়। যার দাম প্রায় ১,৫০০ কোটি টাকা। সেখানে পাকিস্তানের এই দামি বাড়ির বিক্রয়মূল্য ১২৫ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। তবে এই বাড়ি বিক্রি হয়ে গিয়েছে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই বাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপনেই বাড়িটির অন্দরমহলের বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিয়ো দেওয়া হয়েছে। যা দেখে বোঝা যাচ্ছে দামে মুকেশ আম্বানির বিশাল রাজপ্রাসাদের তুলনায় পিছিয়ে থাকলেও বিলাস, কিংবা প্রাচুর্যের কোনও অভাব নেই। অনেকেই সে দেশের এই দামি বাড়িটিকে ছোটখাটো শহরও বলে থাকেন।

এই বাড়ির সামনেই রয়েছে বিশাল বাগান। আর সেই বাগানের দেওয়াল থেকে শুরু করে গোটা বাগানের ভিতরেও রয়েছে অসংখ্য ফোয়ারা। সেইসাথে রয়েছে মরক্কো শৈলীর বাতি। বাড়িতেই রয়েছে গাড়ি রাখার গ্যারাজ, থেকে সুইমিং পুল, জিম, থিয়েটার, সবই। এছাড়া গল্প-গুজব করার জন্যও রয়েছে একটি খোলা ছাদ আর একটি ঢাকা ছাদ। এই বাড়ির মূল ফটকের উচ্চতা প্রায় ৪০ ফুট। এই বাড়িতে যে দশটি শোয়ার ঘর রয়েছে,তার প্রতিটিরই নকশা বিশেষ ধরনের। তবে কোনো ঘরই কিন্তু হেলফেলা করে সাজানো নয়। বাড়ির হলঘরে একসঙ্গে ২০০ জনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে।

তবে অন্যান্য বিলাসবহুল বাড়িগুলির মতো হোটেল নয় এই বাড়িটির ভিতরে গেলে পুরোপুরি বাড়িই মনে হবে। যদিও বিলাসবহুল এই বাড়িতে মজুত রয়েছে সমস্ত আধুনিক ব্যবস্থাও। বাড়ির অন্দরসজ্জার শোভা বাড়িয়ে দিয়েছে সাদা, কালো এবং সোনালি রং। তবে বেশির ভাগ ঘরের রং সাদা হলেও এই বাড়ির সব আসবাব সাদা, কালো এবং সোনালি রঙের। শৌচালয়ে রয়েছে জাকুজি। এই বাড়িতে মোট ১৪০টি ঝাড়বাতি আছে। এছাড়া বাড়ির পিছনে রয়েছে পানশালা। সেখানে বার-বি-কিউ করার ব্যবস্থা ছাড়াও রয়েছে একটি সুইমিং পুল। ঘর সাজানোর জন্য ইটালি এবং স্পেন থেকে আনা হয়েছে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের একাধিক পাথরের মূর্তি। মেঝেতে বিছানো রয়েছে তুরস্কের গালিচা। এই বাড়ির এক তলাতেই রয়েছে একটি অফিসঘর। তার সঙ্গেই রয়েছে একটি বেডরুম এবং বসার ঘর।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *