জানেন নরেন্দ্র মোদী ভারতের কোন স্টেশনে চা বিক্রি করতেন? কি নাম স্টেশনটির? এখনও কি আছে সেটি?

জানেন নরেন্দ্র মোদী ভারতের কোন স্টেশনে চা বিক্রি করতেন? কি নাম স্টেশনটির? এখনও কি আছে সেটি?

জানেন নরেন্দ্র মোদী
কোন স্টেশনে চা বিক্রি করতেন?
কি নাম স্টেশনটির?

এই স্টেশনেই ছিল
মোদীর ছোট্ট চায়ের দোকান!

বালক অবস্থায়
এই দোকানে বসে চা বানিয়ে
খাওয়াতেন মোদী!

এখনও কি আছে সেটি?
থাকলেও বা কি অবস্থায় রয়েছে?

এক সময় তিনি ছিলেন চা বিক্রেতা, সেখান থেকেই আজ তিনি প্রধানমন্ত্রী। এই প্রধানমন্ত্রী আর কেউ নন, তিনি হলেন নরেন্দ্র মোদী। ভারতের প্রাইম মিনিস্টার, দিল্লীর কুর্সিজয়ী। আমরা অনেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চা বিক্রির ঘটনাটি সম্পর্কে জানি। মোদী নিজেও বহুবার নিজের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে, চা বিক্রির বিষয়টি খোলসা করেছেন। অনেকেই জানতে চান, মোদী যে দোকানে বিক্রি করতেন সেই দোকানটি কোথায়। আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের জানাব মোদীর সেই চায়ের দোকানটি সম্পর্কে।

প্রধানমন্ত্রী মোদী যে দোকানে বসে চা বানাতেন ও বিক্রি করতেন, সেটি অবস্থিত ছিল একটি রেল স্টেশনে। স্টেশনটির নাম ভাডনগর রেল স্টেশন। এই রেল স্টেশনকে ঘিরে মোদীর অনেক স্মৃতি রয়েছে। জীবনে একটা বড় অংশ তিনি এই স্টেশনকে কেন্দ্র করে কাটিয়েছেন। মোদীর জন্ম ভাডনগরে। সেখানেই বেড়ে ওঠা। ভাডনগর স্টেশনে একটি চায়ের দোকান চালাত মোদীর বাবা। জন্মের পর থেকেই অভাব ছিল মোদীর নিত্য সঙ্গী। মা, বাবা দুজনকেই দেখেছেন সংসারের হাল ধরতে গিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে। অভাবের সংসারে দুবেলা হাড়ি চড়াতে হিমশিম খেতে হত মোদীর মাকে। সংসারের অভাব অনটন বড্ড কষ্ট দিত বালক নরেন্দ্র মোদীকে। তাই বাধ্য হয়েই বাবার সেই চায়ের দোকানে গিয়ে বসতেন মোদী। বাবাকে সাহায্যের মধ্যে দিয়ে যদি দুটো টাকা বাড়তি উপার্জন হয়, সেই লক্ষ্যেই চায়ের দোকানে নিয়মিত বসতে শুরু করেন তিনি। চায়ের দোকানে সময় দেওয়ার কারণে, মোদীর পড়াশুনোও খুব একটা ভালো হয়নি। তবে সেই সব উপেক্ষা করেই পরিবারের টানে তিনি চায়ের দোকানে সময় দেওয়াটাকেই গুরত্ব দিতেন। অভিনেতা অক্ষয় কুমারের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারের সময়েও মোদী নিজেই এই সমস্ত তথ্য সামনে নিয়ে আসেন। মোদীর সমস্ত কষ্ট আজ স্বার্থক। তিনি আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী। ভারতের গর্ব। তার আমলেই দেশের মুকুটে জুড়েছে একের পর এক নতুন নতুন পালক। তাই এই কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়-

মোদীর হাত ধরেই “ভারত আবার জগত সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে।”


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *