ভারতীয় রেল

আমাদের দেশের বৃহত্তম গণ-পরিবহন ব্যবস্থা হল ভারতীয় রেল। যা প্রতিদিন ছুটে চলেছে দেশের এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত। আমাদের দেশে প্রতিদিন ৮ হাজার রেল স্টেশন থেকে কয়েক লক্ষ যাত্রী সফর করেন। যার মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকেন গোটা দেশের অধিকাংশ মানুষ। বিশেষ করে নিত্য-যাত্রীদের জন্য কম সময়ে দ্রুত গতিতে গন্তব্যস্থলে  পৌঁছানোর জন্য রেলের জুড়ী মেলা ভার। এই কারণেই ভারতীয় রেলকে আমাদের দেশের লাইফ লাইন বলা হয়।  তবে শুধু দূরপাল্লার ট্রেন নয় প্রতিদিন বহু নিত্যযাত্রী যাওয়া আসা করেন লোকাল ট্রেনের চেপেই। এই তালিকায় যেমন রোজকার অফিস যাত্রীরা রয়েছেন তেমনি রয়েছেন স্কুল কলেজের অনেক ছাত্রছাত্রীরাও।

তাই লোকাল ট্রেনে চড়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে কম বেশি আমাদের সকলেরই। কিন্তু রোজ ট্রেনে চেপে যাতায়াত করলেও অনেকের কাছেই কিন্তু অজানা থেকে যায় ভারতীয় রেলের বেশ কিছু খুঁটিনাটি বিষয়। তাই নিত্যযাত্রীরা  অনেকেই হয়তো জানেন না আমাদের পশ্চিমবঙ্গে মোট  কতগুলি রেল চালায় ট্রেন চালায় ভারতীয় রেল?

ভারতে রেল ব্যবস্থা চালু হয় ১৮৫৩ সালে। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার সময়, দেশে বিয়াল্লিশটি রেল ব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল। তবে জানলে অবাক হবেন  বর্তমানে ভারতীয়  রেলের তরফে কলকাতায় ৬৮০ টি, হুগলিতে ৬১২ টি, উত্তর ২৪ পরগণায় ৪৭৪ টি এবং হাওড়া ডিভিশনে ৪৬০ টি লোকাল ট্রেন চালানো হয়। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ৩১৬ টি, নদীয়ায় ২৬২ টি, পূর্ব বর্ধমানে ১৬২ টি লোকাল ট্রেন বলে।

পাশাপাশি, ১৮৮৫ সালের ১ জানুয়ারি তারকেশ্বর রেলওয়ে কোম্পানি শেওড়াফুলি-তারকেশ্বর শাখা লাইনের ব্রডগেজ উদ্বোধন করে। এদিকে ভারতের স্বাধীনতা লাভের পরে ১৯৫২ সালের ১৪ এপ্রিল ইস্ট ইন্ডিয়া রেলওয়ে কোম্পানি এবং সমগ্র বেঙ্গল-নাগপুর রেলওয়ে (পরে যেটি SER গঠন করে) সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে পূর্ব রেলওয়ে জোন গঠন করে। যেটি আবার বিভক্ত রয়েছে চারটি বিভাগে।

 

এখানে  বলে রাখি, ভারত স্বাধীন হওয়ার অনেক আগেই  ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ১৮৫৪ সালের ১৫ আগস্ট হাওড়া এবং হুগলি স্টেশনের মধ্যে প্রথম ট্রেন চালিয়েছিল। ওই দিনেই, বালি, শ্রীরামপুর এবং চন্দননগরে থামিয়ে ৩৮.৬ কিলোমিটার রুটে নিয়মিত পরিষেবা শুরু হয়েছিল। এছাড়া তারকেশ্বর রেলওয়ে কোম্পানি ১৮৮৫ সালের ১ জানুয়ারি শেওড়াফুলি-তারকেশ্বর শাখা লাইনের ব্রডগেজ উদ্বোধন করে।

স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৫২ সালের ১৪ এপ্রিল ইস্ট ইন্ডিয়া রেলওয়ে কোম্পানি এবং সমগ্র বেঙ্গল-নাগপুর রেলওয়ে একসাথে  (পরে এসইআর গঠন করে)  পূর্ব রেলওয়ে জোন গঠন করে। এটি চারটি বিভাগে বিভক্ত। এরপর ১৯৫৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি হাওড়া-ব্যান্ডেল সেকশনে ইএমইউ পরিষেবার উদ্বোধন করা হয়।  সেই পরিষেবাগুলি ১৯৬৩ সালে, বর্ধমান পর্যন্ত অবিচ্ছিন্নভাবে প্রসারিত হয়েছিল। আর পূর্ব রেলওয়ের শিয়ালদহ বিভাগে শিয়ালদহ – রানাঘাট রুট চালু হয়েছিল।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *