উপাচার্যদের সমাবেশে বানান ভুলের ছড়াছড়ি! প্রতিবাদ করতে গিয়েই বিপত্তি, এ যেন হিরো হতে গিয়ে হাসির পাত্র
উপাচার্যদের সমাবেশে
বানান ভুলের ছড়াছড়ি!
প্রতিবাদ করতে গিয়েই বিপত্তি
এ যেন হিরো হতে গিয়ে হাসির পাত্র!
হৈ হৈ রব নেটপাড়ায়!
দেখুন ঠিক কি ঘটেছে?
এদিন এক অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী রইল বাংলা। স্বয়ং উপাচার্যদের সমাবেশেই ভুলের ছড়া-ছড়ি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নিয়ম মেনে উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে। এই দাবী নিয়ে শুক্রবার বেলা ১১ টায় রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসে তৃণমুলপন্থী উপাচার্যরা। তারা স্বরণ করিয়ে দিয়েছেন ‘ আচার্য আইনের উর্ধ্বে নন ‘। উচ্চশিক্ষায় এই রাজ্য v/s রাজ্যপাল এক নতুন মাত্রা এনেছে।
কিন্তু এই আন্দোলনের তাল কাটে প্ল্যাকার্ডে লেখা বানান দেখে। শিক্ষাবিদের আন্দোলনে এমন ভুল দেখে হতবাক হয়ে যায় সকলে। উপাচার্য কি ‘য’ ফলা থাকে বা ‘উদ্ধে’ বানানটা যেন কেমন কেমন। আচার্য বানানেও তো য-ফলা থাকে না। আর এই সব দেখেই ধন্দে পড়ে গেছেন আমজনতা।
আর এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। এমনিতেই বাংলা ভাষা নিয়ে মাঝে মধ্যেই বাদে বিতর্ক। অনেক স্বল্প শিক্ষিত বাঙালি প্রথাগত শিক্ষার মোহে ভুলতে বসেন নিজের বাংলা ভাষাকে। কিন্তু এবারে স্বয়ং উপাচার্যদের ডাকা সমাবেশে এমন ভুল দেখে সত্যিই অবাক সকলে। এখানে উর্ধ্বে নয়, উদ্ধে। আচার্য নন আচার্য্য!
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলা বানান নিয়ে চলেছে নানান গবেষনা। অ্যাকাডেমির হাত ধরে বদল এসেছে নানান শব্দ তথা বানানে। কিছু শব্দের ব্যাবহার সংকুচিত হয়েছে। কিন্তু তা ভাষার বিজ্ঞান মেনেই। যেখানে য – ফলা প্রযোজ্য তা কখনই সরানো হয়নি। বা ‘ণ’ কে ‘ন’ করা হয় নি।
তবে এদিনের এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিদ্বজনেরা। ছিলেন কবি সুবোধ সরকার, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ের অধ্যাপক ওম প্রকাশ মিত্রসহ অনেকেই। তাদের উপস্থিতিতেও কিভাবে এমন ভুল হল তাই এখন ভাবাচ্ছে সকলকে।
Leave a Reply