আজই কেটে যাবে সব বিপদ। জানুন বজরংবলী সম্পর্কিত এই ৬ অজানা তথ্য!*
বজরংবলী সম্পর্কে
৬টি অজানা তথ্য জানা আছে আপনার?
না জানলে আজই জানুন!
কেটে যাবে সকল বিপদ
কেই ছুঁতে পারবে না আপনাকে
হবেন হনুমানজির
মতন শক্তিশালী
আজই জানুন হনুমানজি
সম্পর্কিত ৬ অজানা তথ্য
কলিযুগের দেবতা বজরংবলী। তার আরেক নাম বিপদ মোচনকারী। কারণ যখনই ভক্তরা বিপদে পড়ে তখনই উদ্ধারে হাজির হন বজরংবলী। এছাড়াও পবন পুত্র হনুমান হলেন অমর, তার কোন মৃত্যু নেই। এই বজরংবলী হলেন কলিযুগের একমাত্র দৃশ্যমান দেবতা। হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে প্রতি মঙ্গলবার বজরংবলী ফিরে আসেন নিজের সর্ব শক্তিমান রুপে। আসুন এক নজরে দেখে নি বজরংবলী সম্পর্কিত ছয় অজানা তথ্য।
১. হনুমাদ রামায়ণ
বজরংবলী ছিলেন রামভক্ত। সকলেই জানেন রামায়ণের রচয়িতা বাল্মিকী। কিন্তু বাল্মিকীর রচনার বহু পূর্বেই রামায়ণের রচনা করেন হনুমান। সেই রামায়ণকে বলা হয় হনুমাদ রামায়ণ। কথিত আছে যুদ্ধ মিটে গেলে হনুমান হিমালয় চলে যান। সেখানে গিয়ে নিজের নখ দ্বারা তিনি রচনা করেছিলেন এই হনুমাদ রামায়ণ।
২. মহাদেব অবতার হনুমান
হিন্দু শাস্ত্র মতে রামভক্ত হনুমান হলেন মহাদেবের একাদশতম অবতার। জানা যায় বিষ্ণু অবতার রামকে সাহায্য করতেই এই মহাদেব অবতারের জন্ম হয় পৃথিবীতে।
৩. পঞ্চমুখী হনুমান
পঞ্চমুখী হনুমান যে সর্বশক্তিশালী তা সকলেরই জানা। কিন্তু জানেন কি কেন পঞ্চমুখী অবতার রূপ ধারণ করেছিলেন হনুমান। শ্রীরামচন্দ্র ও তার ভাই লক্ষণকে রক্ষা করতেই তার এই রূপে অবতীর্ণ হওয়া। জানা যায়, রাবণের সঙ্গে যুদ্ধ চলাকালীন সময় এক রহস্যময় আহিরাবন তন্ত্রবিদ্যার প্রয়োগ ঘটিয়ে অজ্ঞান করে দেওয়া হয় রাম লক্ষণকে। সেই সময় বিভীষণ হনুমানকে বলেন “যদি তিনি পাঁচ দিকে মুখ থাকা একটি পঞ্চমুখী প্রদীপকে একসঙ্গে নিভিয়ে দিতে পারেন তাহলেই ওই অহিরাবনের ক্ষমতা হ্রাস পাবে” । ঠিক সেই সময় বিশেষ এই পঞ্চমুখী অবতারে অবতীর্ণ হন হনুমান।
৪. পিতা বজরংবলী
হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন চির ব্রহ্মচর্য হনুমানের ছিল এক সন্তান। জানা যায় পাতার লোকে প্রবেশ করলে হনুমান আকৃতির এক প্রাণী বজরংবলিকে পিতা বলে সম্বোধন করেন। স্বভাবতই ব্রহ্মচর্য বজরংবলী প্রবল ক্রুদ্ধ হন। সেই সময় ওই মকরধজ তাকে বলেন যখন তিনি লাফ দিয়ে সমুদ্র পেরতে যাচ্ছিলেন তার শরীরের এক ফোঁটা ঘাম একটি মকরের মুখের ভেতর পড়ে। সেই ঘামেই গর্ভবতী হয়ে পড়ে মকর। আর তার থেকেই জন্ম হয় এই মকরধজের।
৫. সূর্য নমস্কারের আবিষ্কর্তা বজরংবলী
অনেকেই হয়তো প্রত্যহ শাস্ত্র অনুসারে সূর্য নমস্কার করেন। কিন্তু জানেন কি সূর্য নমস্কার এর উদ্ভাবক কে?। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন বিশেষ এই আসনের উদ্ভাবকও পবন পুত্র হনুমান। আসলে সূর্য দেবের থেকেই সকল প্রকার বেদের শিক্ষা গ্রহণ করেন হনুমান। তাই নিজের গুরুর প্রতি সম্মান থেকেই তার এই বিশেষ নমস্কার এর সৃষ্টি।
৬. হিন্দু শাস্ত্র, সিঁদুর ও বজরংবলী
হিন্দু শাস্ত্র মতে সধবা মহিলাদের জন্য সিঁদুর এক অতি পবিত্র জিনিস। এই প্রসঙ্গে হনুমানজি একবার মা সীতাকে প্রশ্ন করেন তিনি কেন সিথিতে সিঁদুর দান করেন। হনুমানজিকে বোঝানোর জন্য মা সীতা একটি আমের গায়ে সিঁদুর লেপন করে তাকে বুঝিয়ে দেন সিঁদুর দান মানে শ্রী রামচন্দ্রের আয়ুর বৃদ্ধির কামনা করা। এই কথা শোনা মাত্রই রামের দীর্ঘ জীবন কামনার জন্য হনুমান নিজের সর্বাঙ্গে সিঁদুর লেপন করেন।
Leave a Reply