জি-২০ সম্মেলনে থেকে মোদীর ধামাকাদার ৫টি লাভ! যা খুলে দেবে ভারতের কপাল, জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দেবে চিনকে

জি-২০ সম্মেলনে থেকে মোদীর ধামাকাদার ৫টি লাভ! যা খুলে দেবে ভারতের কপাল, জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দেবে চিনকে

জি-২০ সম্মেলনে থেকে
মোদীর ধামাকাদার ৫টি লাভ
যা ভারতের কপাল খুলে দেবে

বিশ্বমঞ্চে কদর বাড়িয়ে দেবে
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দেবে
চিনকে!

কি সেই ৫টি লাভ?
কি সেই ৫টি সুখবর?

এই প্রথমবার জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করল ভারত। নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানের ভারত মণ্ডপম কনভেনশন সেন্টারে বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্রনেতাদের নিয়ে বৈঠক করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এটি একেবারেই সাধারণ কোনও সম্মেলন নয়। এই সম্মেলনের হাত ধরেই বিশ্বমঞ্চে উজ্জ্বল ভারতের নাম। ভারতের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সম্মেলনকে সবচেয়ে সফল সম্মেলন বলেই উল্লেখ করছেন বিশিষ্টরা। জি-২০ সম্মেলন থেকে ভারত ৫টি দিক থেকে সুবিধা লাভ করেছে। এক নজরে দেখুন সেগুলো কি কি –

১, ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ করিডোরঃ জি-২০ সম্মেলনের প্রথম দিনেই ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ কানেক্টিভিটি করিডোর চালু করা হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে ভারতের কাছে একটি বড় প্রাপ্তি। কেন জানেন? আসলে এই করিডোরের সাহায্যের ভারতের শিপিং এর খরচ অনেকটাই কমে যাবে। এই করিডোরের সাহায্যে সংযুক্ত আরব আমিরা, সৌদি আরব, জর্ডন এবং ইসরায়েল হয়ে ভারত থেকে ইউরোপে পর্যন্ত রেলপথ ও বন্দরগুলিকে সংযুক্ত করা হবে। এই দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যের গতি আগের তুলনায় অনেক বেশি বেড়ে যাবে। কিন্তু এর ফলে ধাক্কা খাবে চিন।

২, গ্লোবাল বায়োফুয়েল অ্যালায়েন্সঃ জি-২০ সম্মেলনের ভারতের অন্যতম লাভ গ্লোবাল বায়োফুয়েল অ্যালায়েন্সকে ঘিরে। এর মূল উদ্দেশ্য হল পরিবেশ দূষণ রোধ করা। গ্লোবাল বায়োফুয়েল অ্যালায়েন্সে টেকসই জৈব জ্বালানির ব্যবহার করা হয়। যা তৈরি হয়, উদ্ভিদ, শস্য, শ্যাওলা, খাদ্য বর্জ্য, মায়োসাস থেকে। এতে কার্বনের পরিমাণ খুব কম থাকে। ফলে পরিবেশ দূষণের হার কমে। এর সাহায্যে পেট্রোল ও ডিজেলের মতো জ্বালানির উপর থেকেও নির্ভরশীলতা অনেকটাই কমবে বলে আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা।

৩, আফ্রিকান ইউনিয়নে প্রবেশ: জি-২০ সম্মেলনের প্রথম দিনেই ভারত আফ্রিকান ইউনিয়নকে জি-২০-র স্থায়ী সদস্য করার প্রস্তাব দেয়। অন্যান্য দেশের সম্মতিতে ভারতের এই প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আফ্রিকায় চিনের প্রভাব বেড়েছে। এই পরিস্থিতে দাড়িয়ে ভারতের এই পদক্ষেপে ঘুম উড়তে চলেছে চিনের।

৪, বিশ্ব মঞ্চে ভারতের সুনাম বৃদ্ধিঃ জি-২০ সম্মেলনের হাত ধরে, বিশ্বমঞ্চে ভারতের সুনাম বৃদ্ধি হবে বলে আশাবাদী বিশিষ্টরা। এই সম্মেলনের সফলতার মধ্যে দিয়েই, বিশ্ব মঞ্চে নেতৃত্বদানকারীর ভূমিকায় উন্নীত করবে ভারত।

৫, বৈদেশিক সম্পর্কের গভীরতা বৃদ্ধিঃ জি-২০ সম্মেলনে সভাপতিত্বের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও বেশি মজবুত হবে। যার ফলে ভবিষ্যতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সভা সম্মেলনে সমর্থন পেতে সুবিধা হবে ভারতের।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *