ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানিকে এক ডাকে চেনে গোটা দুনিয়া। এশিয়া মহাদেশের সবথেকে ধনী শিল্পপতি তিনি। বরাবরই নিজের বিলাসবহুল জীবন যাপনের জন্য জগৎ বিখ্যাত ভারতীয় এই শিল্পপতি। মুকেশ আম্বানির মোট সম্পত্তির প্রায় ৯,৪০০ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৭ লক্ষ ৭৭ হাজার কোটিরও বেশি। এহেন ভারতীয় ধন কুবেরকে মাসে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে ঘর ভাড়া নিলেন বিশ্বের দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি।
যদিও যিনি এই ঘর ভাড়া নিয়েছেন তার কাছে এই টাকাটা একেবারেই হাতের নস্যি। হামেশাই এই ধরনের বেলাগাম খরচ তিনি করেই থাকেন। কথা হচ্ছে ফরাসি সংস্থা লুই ভিতোঁর মালিক বার্নার্ড আর্নল্টকে নিয়ে। ইলন মাস্কের পর তিনিই হলেন বিশ্বের দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি। ৭৪ বছর বয়সী বার্নাডের প্রায় ৭৫টি ফ্যাশন, পানীয় এবং বিলাসবহুল পণ্যের ব্র্যান্ড রয়েছে। ফ্যাশন পানীয় এবং বিলাসবহুল পণ্যের ব্র্যান্ড রয়েছে বর্তমানে তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২০ হাজার ৮০০ কোটি ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় যাত্রায় ১৭ লক্ষ কোটি টাকা। আদতে ফ্রান্সের বাসিন্দা বার্নার্ড বহু বিলাসবহুল ব্রান্ডের মালিক। তাই তাঁর নজর যে দামি জিনিসের প্রতি থাকবে সেটাই স্বাভাবিক।
ফরাসি এই ধনকুবের মুকেশ অম্বানীর থেকে মুম্বইয়ের বান্দ্রা কুর্লা কমপ্লেক্সে জিয়ো ওয়ার্ল্ড প্লাজ়ার মধ্যে একটি বাণিজ্যিক স্থান ভাড়া নিয়েছে। অম্বানীর থেকে ভাড়া নেওয়া এই জায়গাতেই পৃথিবীর সব থেকে বড় বিপণি খুলবে বার্নার্ড আর্নল্টের ফরাসি ফ্যাশন সংস্থা লুই ভিতোঁ। আগামী সাড়ে ৯ বছরের জন্য দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে ৭,৩৬৫ বর্গফুট এলাকা নিয়ে বিস্তৃত এই জায়গাটি ভাড়া নিয়েছে তারা।
রিলায়্যান্সের জিয়ো ওয়ার্ল্ড প্লাজ়ায় এই বিপণির জন্য মাসে সাড়ে ৪০ লক্ষ টাকা দেবে এই ফরাসি ফ্যাশন সংস্থা। অথবা সংস্থার আয়ের ৬ শতাংশ মুকেশকে দেবে লুই ভিতোঁ। এক্ষেত্রে ভাড়া বা লভ্যাংশ,যেটা বেশি হবে, সেটাই দিতে হবে। জানা যাচ্ছে চুক্তি হওয়ার তিন বছর পর আবার ১৫ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করা হবে।
এখানেই শেষ নয় প্রতি মাসের ভাড়া ছাড়াও আগাম দু’কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা সিকিউরিটি ডিপোজ়িট দিয়েছে লুই ভিতোঁ। এছাড়াও সাধারণ এলাকার জন্য আগাম ২৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা আর অন্যান্য সাজ সরঞ্জামের জন্য আরও ২৯ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা জমা করেছেএই সংস্থা।
Leave a Reply