রতন টাটা

ভারতবর্ষের জনপ্রিয় শিল্পপতি রতন টাটা-কে কে না চেনেন! দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও রয়েছে তাঁর বিপুল খাতি। তরুণ প্রজন্মের অনেক উঠতি ব্যবসায়ীর কাছে অনুপ্রেরণা তিনি। তরুণ প্রজন্মের মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন রতন টাটা। তবে বিরাট সম্পত্তির মালিক হলেও রতন টাটা বরাবরই বিভিন্ন ধরনের সমাজ সেবামূলক কাজের সাথে যুক্ত থাকেন। তাই ইতিপূর্বে দেশবাসী যতবার সংকটে পড়েছেন ততবার বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছেন রতন টাটা।

টাটাদের একাধিক সংস্থার মালিক বিভিন্ন চ্যারিটেবল ট্রাস্ট। তাই  রতন টাটার হাতে অতি অল্প সংস্থারই মালিকানা হয়েছে। এছাড়া, রতন টাটা নিজেও নানারকম সেবামূলক কাজ করে থাকেন। তাই সম্পত্তির বড় অংশই তিনি দান-ধ্যানে সাহায্য করে থাকেন। এই কারণেই বিশ্বের অন্যতম বড় শিল্পপতি হয়েও তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ অন্যদের তুলনায় বেশ কম।

প্রসঙ্গত ৮৫ বছর বয়সে এসেও আজও অবিবাহিতই থেকে গিয়েছেন রতন টাটা। তাই প্রশ্ন ওঠে আগামী দিনে রতন টাটার এই বিপুল সম্পত্তির মালিক কে হবেন?

তবে রতন টাটা একা নন তাঁর পরের প্রজন্ম হিসাবে বর্তমানে টাটা গোষ্ঠীর অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছেন তাঁর ভাই নোয়েল টাটার তিন সন্তান। রতন টাটার ভাই নোয়েল টাটার জ্যেষ্ঠ কন্যা লিয়া টাটা মেডিক্যাল সেন্টার ট্রাস্টের একজন ট্রাস্টি। লিয়ারা তিন ভাইবোন। লিয়ার বোন মায়া ও ভাই নেভিল টাটাও এই টাটা গোষ্ঠীর ব্যবসার সাথেই যুক্ত রয়েছেন।

লিয়ার বাবার মতো মা আলো মিস্ত্রিও সফল ব্যবসায়ী। তাই বাবা-মায়ের দেখানো পথ অনুসরণ করেই লিয়া পাড়ি দিয়েছিলেন স্পেনের বিজ়নেস স্কুলে। মাদ্রিদে আইই বিজ়নেস স্কুলে মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। পড়াশোনা শেষ করে বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করেন লিয়া। ২০০৬ সালে প্রথম কর্মজীবন শুরু করেছিলেন তিনি। ওই বছর তাজ হোটেলস রিসর্টস অ্যান্ড প্যালেসেসের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেলস ম্যানেজার হিসাবে যোগ দেন লিয়া। তারপর ২০১০ সালে বিখ্যাত ফ্যাশন সংস্থা লুই ভিতোঁয় তিন মাসের ইন্টার্নশিপ করেছেন লিয়া। টানা ১০ বছর ভারতের বিভিন্ন হোটেল ইন্ডাস্ট্রিতে দায়িত্ সামলেছিলেন লিয়া। পরে টাটা গোষ্ঠীর টাটা মেডিক্যাল সেন্টার ট্রাস্টের একজন ট্রাস্টি হন লিয়া।

লিয়ার বোন মায়াও টাটা অপর্চুনেটিজ় ফান্ডে কাজ করতেন। জানা যাচ্ছে তিনি টাটা ডিজিটালের সঙ্গে যুক্ত।অন্য দিকে, টাটা গোষ্ঠীর রিটেল সংস্থা ট্রেন্টে কাজ করেন নেভিল টাটা। তবে টাটাদের এই পরের প্রজন্ম বরাবরই প্রচারের আড়ালে থাকেন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *