কত টাকা মাইনে নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়? তৃণমূল সুপ্রিমোর আয়ের উৎস কি? লোকসভা নির্বাচনের আগে ফাঁস বড় সত্যি।
দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম জামানার অবসান ঘটিয়ে রাজ্যের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ২০১১ সালের ২০ মে শপথ গ্রহণ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই নিয়ে পরপর তিনবার রাজ্যের বিধায়ক মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে শেষবার ২০১৯ সালে বেতন বৃদ্ধি পেয়েছিল।
স্যালারি স্কেল অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি বেতন পেয়ে থাকেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তারপর মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং বিধায়করা। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকে আজ অব্দি নিজের বেতন গ্রহণ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মুখ্যমন্ত্রীর বেতন কত তা আজও আজও অনেকেরই অজানা। মুখ্যমন্ত্রী নিজে জানিয়েছেন তিনি তাঁর বেতনের এক টাকাও নেন না। বরং সেই অর্থ তিনি বিলিয়ে দেন জনকল্যাণের কাজে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি তার বেতন অথবা ভাতা থেকে এক পয়সাও নেন না। তবে একথা শুধু তাঁরই মুখের কথা নয়, একই কথা জানিয়েছেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
মুখ্যমন্ত্রীর আয়ের উৎস কি ?
কিন্তু এখন প্রশ্ন হল তিনি যদি বেতন গ্রহণ না করেন তাহলে তাঁর আয়ের উৎস কি? এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি যে সকল ছবি আঁকেন তা বিক্রি করে এবং তার লেখা বইগুলির রয়্যালিটি থেকেই তিনি যা পান তাতেই তাঁর চলে যায়।
বেতন বৃদ্ধির হিসাব
জানা যায় ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেতন ১ লক্ষ ১৭ হাজার ১ টাকা। যার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর মূল বেতনই হল ২৭ হাজার ১ টাকা এবং ডিএ ৯০ হাজার টাকা। তবে ২০২৩ সালে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি পেলেও মুখ্যমন্ত্রী নিজে তার মাইনে বাড়াননি। জানা যায় ২০১৯ সালে বেতন বৃদ্ধির আগে মুখ্যমন্ত্রীর বেতন ছিল মোট ৮৭ হাজার টাকা। যার মধ্যে ২৭ হাজার টাকা ছিল বেতন এবং বাকি ৬০ হাজার টাকা ছিল ডিএ।
আরও একটু পিছিয়ে গেলে দেখা যাবে, ২০১৭ সালে প্রথমবার বিধানসভায় বিল পাশ করার পরেও একবার বেতন বৃদ্ধি পেয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর। সেসময় মুখ্যমন্ত্রীর আগের বেতন ছিল মাত্র ৮৫০০ টাকা। যা বেড়ে হয়েছিল ২৭ হাজার টাকা।
Leave a Reply