‘তেল দিলেই মেলে জাতীয় পুরস্কার’ মোদিকে কটাক্ষ কুমার শানুর! শ্রেয়া ঘোষাল জাতীয় পুরষ্কার পেলেও, তিনি পাননি, ফাঁস করলেন কালো সত্য

‘তেল দিলেই মেলে জাতীয় পুরস্কার’ মোদিকে কটাক্ষ কুমার শানুর! শ্রেয়া ঘোষাল জাতীয় পুরষ্কার পেলেও, তিনি পাননি, ফাঁস করলেন কালো সত্য

‘তেল দিলেই মেলে জাতীয় পুরস্কার’
মোদিকে কটাক্ষ কুমার শানুর!

৪০ বছর পরেও
কুমার শানুর ভাগ্যে জোটেনি
একটিও জাতীয় পুরষ্কার!

এত এত হিট গান গেয়েও
জোটেনি যোগ্য সম্মান!
বঞ্চিত প্রাপ্য অধিকার থেকে!

শ্রেয়া ঘোষাল জাতীয় পুরষ্কার পেলেও
তাঁকে দেওয়া হল না!

রাগে, দুঃখে ধুয়ে দিলেন
শাসক থেকে সহকর্মীকে

ফাঁস করলেন পুরস্কারের পিছনে থাকা
নোংরা সত্য!
শোরগোল নেটপাড়ায়

নয়ের দশকের অন্যতম সেরা গায়ক কুমার শানু। দেশ থেকে বিদেশ সর্বত্র জনপ্রিয়তা পেয়েছে কুমার শানুর গলা। একাধিক হিট গানের জনক এই সুর সম্রাট। এত জনপ্রিয় হয়েও জাতীয় পুরষ্কার আসেনি কুমার শানুর ঝুলিতে। সত্যিই তো, ২০০৯ সালে একবার পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন কুমার শানু। সেই সময় দিল্লির কুর্সিতে ক্ষমতায় ছিলেন কংগ্রেস। সেই একবার জাতীয় স্তরের পুরস্কার পেয়েছেন। তবে জাতীয় পুরষ্কার জোটেনি। ক্যারিয়ারের ৪০টি বছর কেটে গেলেও আজও কুমার শানুর হাতে জাতীয় পুরস্কার ওঠেনি। এবার জাতীয় পুরষ্কার প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধলেন কেদারনাথ ভট্টাচার্য ওরফে কুমার শানু।

সম্প্রতি ৬৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা গায়ক-গায়িকার শিরোপা পেয়েছেন দক্ষিণের কালা ভৈরব এবং বলিউডের বঙ্গকন্যা শ্রেয়া ঘোষাল। সেখানেই ঠাঁই পাইনি দেশ কাঁপানো গায়ক কুমার শানু। এই নিয়েই এক সাক্ষাৎকারে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি। ফাঁস করলেন, ৪০ বছর পরেও জাতীয় পুরষ্কার না পাওয়া আসল কারণ। কুমার শানু বলেন-

*”আমার পদ্মবিভূষণ কিংবা জাতীয় পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল। তবে আমার কিছু যায়-আসে না। এটা পুরোপুরি সরকারের বিষয়। এটা যে সম্মানের, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে খারাপ লাগে। আমার অবশ্য এখন অভ্যেস হয়ে গিয়েছে। আপনার যদি কাউকে তেল দেওয়ার অভ্যেস না থাকে, আপনি এইসমস্ত পুরস্কারগুলো পাবেন না। আমি নিজেও বুঝে গেছি এটা। আর আমার মনে হয়, আমজনতাও বিষয়গুলো জানেন। চেনাশোনা থাকলে তবেই এসব পুরস্কার পাওয়া যায়।”*

কুমার শানুর সংযোজন করে আরও বলেন,

*“আমার এই ধরণের কোনও যোগাযোগ নেই যে আমি নিজের জন্য একটা জাতীয় পুরস্কার ম্যানেজ করতে পারি, সেটা ঠিক আছে। জীবনে কোনওদিন এসব নিয়ে মাথাও ঘামাইনি। কে কী করছে, তাতে যায়-আসে না আমার! আজকের দিনে দাঁড়িয়েও এইকথা বলছি আমি। সরকার যেদিন মনে করবে আমি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য, সেদিন দেবে। আমি কী করতে পারি, যদি আমাকে জাতীয় পুরস্কার না দেওয়া হয়।”*

তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় সঙ্গীত জগতে রাজত্ব করেছেন কুমার শানু, এই কথা অস্বীকার করা যাবে না। সুবিশাল কর্মজীবনে অগণিত হিট গান গেয়েছেন মানুষটি। কুমার শানুর কালজয়ী গানের তালিকায় রয়েছে- *মেরা দিল ভি কিতনা পাগল হ্যায়, দিল কা আলম, সোচেঙ্গে তুমে প্যায়ার, এক লড়কি কো দেখা, এবং ইয়ে কালি কালি আঁখে।* এত কৃতিত্বের দাবিদার হয়েও তার ঝুলিতে জাতীয় পুরষ্কার নেই বিষয়টি মানতে পারছেন না বিশিষ্টরা।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *