বলিউড মানেই ঝাঁ-চকচকে গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড। যার বাইরেটা দেখে চোখ ধাঁধিয়ে গেলেও ভিতরের ছবিটা কিন্তু একেবারে আলাদা।তাই একটু খোঁজ নিলে দেখা যাবে বেশিরভাগ বলিউড তারকাদের জীবনই বিভিন্ন কেচ্ছা আর কেলেঙ্কারিতে ভরা। ইন্ডাস্ট্রিতে এমন অনেক সেলিব্রেটি জুটি রয়েছেন যাঁদের বিয়ে নিয়ে একসময় তুমুল বিতর্ক হয়েছিল ইন্ডাস্ট্রিতে। আসুন দেখে নেওয়া যাক বলিউডের এমনই ৭ টি বিতর্কিত বিয়ের তালিকা।
শ্রীদেবী এবং বনি কাপুরের বিয়ে:
মৃত্যুর পর আজও চর্চা থামেনি বলিউড অভিনেত্রী শ্রীদেবীকে নিয়ে। আজও বলিউডের ‘এজলেস বিউটি’ তিনি। বলিউডের জনপ্রিয় প্রযোজক বনি কাপুরের সাথে তাঁর বিয়ে ঘিরেও কম জলঘোলা হয়নি। বিবাহিত, দুই সন্তানের বাবা বনি কাপুরের সঙ্গে শ্রীদেবীর গোপন সম্পর্ক তাঁর স্ত্রী মোনাকে তো বটেই অবাক করেছিল পুরো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে।
হেমা মালিনী এবং ধর্মেন্দ্রর বিয়ে:
বলিউডের ‘ড্রিম গার্ল’ বলা হয় হেমা মালিনীকে। তার সাথে হিন্দি সিনেমার সুপারস্টার ধর্মেন্দ্রের বিয়েও সেসময় শোরগোল ফেলে দিয়েছিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। বিবাহিত তার ওপর চার সন্তানের বাবা ধর্মেন্দ্রকে বিয়ে করায় তখনকার সমাজ ভালো চোখে দেখেনি অভিনেত্রীকে। তাছাড়া তাঁদের দু’জনের মধ্যে ছিল বয়সের বিস্তর ফারাক। বিতর্ক তৈরী করেছিল তাঁদের ধর্মীয় ভেদাভেদও। কারণ ধর্মেন্দ্র পাঞ্জাবি, আর হেমা মালিনী দক্ষিণ ভারতীয়। তাই দুই পরিবারের তরফেই তাঁদের বিয়ে নিয়ে ছিল তুমুল আপত্তি। তাছাড়া জানা যায় ধর্মেন্দ্র তাঁর প্রথম স্ত্রীকেও ছাড়তে চাননি। শেষে ধর্ম পরিবর্তন করে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা দুজন।
সুনীল দত্ত ও নার্গিস:
ধর্মের বেড়াজাল ডিঙিয়ে ১৯৫৮ সালে সুনীল দত্তের সাথে বিয়ে হয়েছিল ‘মাদার ইন্ডিয়া’ খ্যাত জনপ্রিয় অভিনেত্রী নার্গিসের। সেসময় তাঁর এই ভিনধর্মের বিয়ে ঘিরেও হয়েছিল তুমুল বিতর্ক। বলিউডের এই হাই-প্রোফাইল বিয়েতে ধর্মীয় ভেদাভেদ এতটাই বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে আন্ডারওয়ার্ল্ড থেকে হুমকিও পেয়েছিলেন সুনীল দত্ত। কিন্তু ভয়কে ভালোবাসার পথে বাঁধা হতে দেননি এই জুটি। তাই সব প্রতিকূলতা পেরিয়েই সুখের সংসার পেতেছিলেন তাঁরা।
অমৃতা সিং ও সইফ আলি খানের বিয়ে:
১৯৯১ সালে ভালোবেসেই অমৃতা সিংকে বিয়ে করেছিলেন বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খান। সেই সময় অত্যন্ত চর্চিত বিয়ে ছিল সইফ-অমৃতার বিয়ে। অসম বয়সী এই বিয়েতে অমৃতা সিং ছিলেন সইফের চেয়ে ১৩ বছরের বড়। এছাড়া অমৃতা হিন্দু এবং সইফ মুসলিম। তাই বয়স ছাড়াও তাঁদের সম্পর্কে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ধর্মীয় ভেদাভেদ। যদিও সব বাধা অতিক্রম করেই বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। তবে তাঁদের সেই সংসার সুখের হয়নি।
রানি মুখার্জি এবং আদিত্য চোপড়ার বিয়ে:
বলিউড অভিনেত্রী রানী মুখার্জীর প্রেমে পরেই প্রথম স্ত্রী পায়েল খান্নাকে ডিভোর্স দিয়েছিলেন আদিত্য চোপড়া। স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও গোপনে প্রেম করতেন তাঁরা। ২০১৪ সালে বিদেশে সবার আড়ালেই বিয়ে সেরেছিলেন রানী। জানা যায় বিয়ের আগে ১২ বছর সম্পর্কে ছিলেন তাঁরা।
শিল্পা শেট্টি এবং রাজ কুন্দ্রার বিয়ে:
বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টির স্বামী রাজ কুন্দ্রারও আগে এক বিয়ে ছিল। রাজ তাঁর প্রথম স্ত্রী কবিতাকে ডিভোর্স দিয়েই বিয়ে করেন শিল্পা শেট্টিকে। এরপর তাঁদের এই বিয়ে নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন কবিতা। যা নিয়ে বহুবার শিরোনামে এসেছেন এই দম্পতি।
বিপাশা বসু এবং করণ সিং গ্রোভারের বিয়ে:
বলিউড অভিনেত্রী বিপাশা বসু এবং করণের সিং গ্রোভারের বিয়েও কম বিতর্কিত নয়। কারণ বিপাশাকে বিয়ে করার আগে দু’বার দুই জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রীকে বিয়ে করেছিলেন করণ। বলিউড অভিনেতা জন আব্রাহামের সাথে বিচ্ছেদের পর ততদিনে বিপাশাও ছিলেন সিঙ্গেল। তবে করণকে বিয়ের পর এখন মেয়েকে নিয়ে সুখে সংসার করছেন বিপাশা।
Leave a Reply