এবার ট্র্যাফিক পুলিশের মাথায় বসবে এসি! বাজারে আসছে এমনই এক আবিষ্কার, কীভাবে সম্ভব হবে এটি? কে করেছে এই আবিষ্কার?
এবার ট্র্যাফিক পুলিশের
মাথায় বসবে এসি!
চাঁদি ফাটা রোদেও
মাথা থাকবে ঠাণ্ডা!
রোদের তেজ বাড়লেও
লাগবে না কোনও গরম!
হবে না এক ফোটাও ঘাম!
বাজারে আসছে
এমনই এক আবিষ্কার
যা কমিয়ে দেবে ট্র্যাফিক পুলিশের কষ্ট
কীভাবে সম্ভব হবে এটি?
কে করেছে এই আবিষ্কার?
ট্র্যাফিক পুলিশ মানেই যথেষ্ট কষ্টের একটি চাকরি। রাস্তা, ঘাটে বেরোলেই চোখে পড়ে তাদের চাকরি জীবনের কষ্ট। এই পেশায় শারীরিক পরিশ্রম অনেক বেশি থাকে। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করতে দেখা যায় ট্র্যাফিক পুলিশদের। বিশেষ করে গরমকালে ট্র্যাফিক পুলিশদের কষ্টের সীমা থাকে না। একেই চাঁদিফাটা রোদ, তার মধ্যে রাস্তা ঘাটের ধুলোবালি, গাড়ির কালো ধোঁয়া সবমিলিয়ে নাভিশ্বাস দশা হয় ট্র্যাফিক পুলিশদের। গ্রীষ্মকালে ট্র্যাফিক পুলিশদের এই কষ্টকে আরও দ্বিগুণ করে দেয় তাদের মাথায় থাকা হেলমেট। ডিউটি করার সময় ট্র্যাফিক পুলিশদের মাথায় হেলমেট পড়ে থাকতে হয়। গরমকালে সেটি আর হেলমেট থাকে না, হয়ে যায় আগুনের গোলা। প্রচণ্ড গরমে ওই হেলমেটই কাল হয়ে ওঠে দায়িত্বরত ট্র্যাফিক পুলিশদের কাছে। এবার তাদের এই কষ্ট লাঘব করতে মাঠে নামল একটি প্রযুক্তি সংস্থা। ট্র্যাফিক পুলিশদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে বাজারে আনতে চলেছে এসি হেলমেট। যা কমিয়ে দেবে পুলিশদের কষ্ট।
কি এই এসি হেলমেট?
এটি এমন একটি হেলমেট, যেখানে একটি ছোট্ট কম্প্রেসার রয়েছে। যা পরিবেশ থেকে বাতাস টেনে নেবে এবং তা ঠান্ডা করে হেলমেটের ভিতরে সরবরাহ করবে। যার ফলে হেলমেটের ভিতরে তাপমাত্রা বাইরের তাপমাত্রার চেয়ে প্রায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম থাকবে। হেলমেটের ভিতরে এসির মতন ঠাণ্ডা অনুভূতি দেবে। এই হেলমেট ব্যবহার করলে ট্রাফিক পুলিশরা গরমের জ্বালা থেকে মুক্তি পাবে।
কীভাবে কাজ করবে এই হেলমেট?
এই হেলমেটটিতে একটি রিচার্জেবল ব্যাটারি রয়েছে। যা একবার চার্জ দিলে ৮ ঘন্টা পর্যন্ত চলবে।
হেলমেটটির ওজনও কম, মাত্র ৫০০ গ্রাম। হেলমেটটির সামনে রয়েছে একটি সনি আইসিও ফ্ল্যাশলাইট। যার সাহয্যে রাতের বেলাতেও ট্রাফিক পুলিশের কাজ করতে সুবিধা হবে।
কারা বানিয়েছেন এটি?
এই হেলমেটটি তৈরি করেছে ভারতীয় টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠান, *করম সেফটি প্রাইভেট লিমিটেড*। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানান-
‘এই হেলমেটটি ট্রাফিক পুলিশদের জন্য একটি বিপ্লবী উদ্ভাবন। এটি তাদের কাজের পরিবেশকে আরও স্বাস্থ্যকর এবং আরামদায়ক করে তুলবে।’
এই হেলমেটটি এখনও বাজারে আসেনি। তবে গুজরাটের আহমেদাবাদের বেশ কিছু ট্র্যাফিক পুলিশকে দিয়ে এই হেলমেটটি পরীক্ষা করানো হচ্ছে।
Leave a Reply