বার বার ভোটের দিন শেষ! এবার হবে ‘এক দেশ এক ভোট’, একটি মাত্র ভোটেই মিটে যাবে বিধানসভা, লোকসভার মত বড় বড় নির্বাচন, কীভাবে?

বার বার ভোটের দিন শেষ! এবার হবে ‘এক দেশ এক ভোট’, একটি মাত্র ভোটেই মিটে যাবে
বিধানসভা, লোকসভার মত বড় বড় নির্বাচন, কীভাবে?

বার বার ভোটের দিন শেষ!
এবার হবে ‘এক দেশ এক ভোট’

একটি মাত্র ভোটেই মিটে যাবে
বিধানসভা, লোকসভার মত বড় বড় নির্বাচন!
তোড়জোড় শুরু করেছে কেন্দ্র!

কি এই ‘এক দেশ এক ভোট’?
এর সুবিধা-অসুবিধাই বা কোথায়?

আদৌ কি কার্যকরী হবে এই নিয়ম?
হলেও বা কীভাবে কাজ করবে এটি?

বিগত কিছু দিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ‘এক দেশ এক ভোট’। আমাদের দেশে বর্তমান নির্বাচন পদ্ধতি অনুযায়ী পঞ্চায়েত, পৌরসভা, বিধানসভা, লোকসভা সহ একাধিক নির্বাচন পদ্ধতি চালু রয়েছে। এই একাধিক নির্বাচন পদ্ধতিগুলোর মাধ্যমে, জনগণ বার বার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ ও মত পরিবর্তনের সুযোগ পায়। কিন্তু জনগণ একদিকে এই সমস্ত সুবিধা পেলেও, বেকায়দায় পড়ে সরকার। কারণ এত বার করে নির্বাচন পরিচালনার জন্য সরকারের বিরাট অঙ্কের খরচা সামলাতে হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের এই খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে এক দেশ এক ভোটের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই ‘এক দেশ, এক ভোট’ নীতি সম্পর্কে একটু সহজ ভাষায় বললে, ‘এক দেশ, এক ভোট’ বলতে বোঝায়, সারা দেশে একযোগে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা। অর্থাৎ, সারা ভারত জুড়ে লোকসভা এবং সমস্ত রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচন একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত করানো।

‘এক দেশ ভোট’-এর সুবিধা কী কী?

এক, ‘এক দেশ এক ভোট’ চালু হলে বার বার নির্বাচনের জন্য যে খরচ হয় তা বেঁচে যাবে।
একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে খরচ হয়েছিল ৬০ হাজার কোটি টাকা।

দুই, বার বার ভোটের কারণে সরকারি কর্মীদের কাজে চাপ পড়ে, তাদের কাজ ব্যহত হয়। ‘এক দেশ এক ভোট’ চালু হলে সরকারি আধিকারিকদের কর্মক্ষমতা বেড়ে যাবে।

‘এক দেশ এক ভোট’-এর অসুবিধা?

এক, এক দেশ এক ভোট মানেই একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভার ভোট করানো। যা খুবই জটিল প্রক্রিয়া।

দুই, ‘এক দেশ এক ভোট’ হলে আঞ্চলিক বিরোধী দলগুলির অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়তে পারে। দাবি একাংশের।

এই সমস্ত সুবিধা, অসুবিধা বিবেচনা করে, এক দেশ এক ভোট চালু হবে কি হবে না, আদৌ এর গুরুত্ব রয়েছে কি না সেই লক্ষ্যেই ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর সংসদের বিশেষ অধিবেশন এই নিয়ে আলোচনা হবে। আসন্ন অধিবেশনে এক দেশ এক ভোটকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে আসবে। বিশিষ্ট মানুষেরা এই নিয়ে মতামত রাখবেন। সঙ্গে আলোচনা, তর্ক, বিতর্কও হবে। এমনটাই মনে করছেন একাংশ। এদিকে এক দেশ এক ভোটকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন ৮ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই কমিটিতে রয়েছেন –

রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

কংগ্রেসের লোকসভার সদস্য অধীর রঞ্জন চৌধুরী

রাজ্যসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা গুলাম নবী আজাদ

১৫তম ফিনান্স কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এক কে সিং

লোকসভার প্রাত্তন সচিব ড. সুভাষ সি কাশ্যপ

বর্ষীয়ান আইনজীবী হরিশ সালভে

প্রাক্তন মুখ্য ভিজিলেন্স কমিশনার সঞ্জয় কোঠারি

এই আট সদস্যের কমিটি এক দেশ এক ভোট নিয়ে বিচার বিবেচনা করবেন।

আপাতত ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর সংসদের যে বিশেষ অধিবেশনে রয়েছে সেই দিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ। কারণ এই অধিবেশন থেকেই হয়ত উঠে আসতে পারে, *এক দেশ এক ভোটকে* ঘিরে বিশেষ কোনও বার্তা। দাবি বিশেষজ্ঞ মহলের।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *