ভাদ্র মাসের প্রচন্ড গরমের সাথে সাথেই ইদানিং পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ইলেকট্রিক বিল। পুজোর আগে এই হাঁসফাঁস করার গরমে হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে মাসের শেষে বিদ্যুতের বিল আসতেই হাত পুড়ছে মধ্যবিত্তের। যার একমাত্র কারণ কিন্তু এসি নয়, এর পিছনে থাকে বাড়ি লোকদের অসাবধানতাও। যার ফলে মাসের শেষে বিদ্যুতের বিলের জন্য গুনতে হয় বাড়তি টাকা। তবে সমস্যা থাকলে তার সমাধানও থাকে! তাই বাড়িতে বিদ্যুতের বিল কমানোর জন্যও রয়েছে কয়েকটি বিশেষ টোটকা। যা মেনে চলতে পারলেই লাফিয়ে কমবে বিদ্যুতের বিল। আসুন দেখে নেওয়া যাক ইলেকট্রিক বিল কমাতে কী কী টোটকা মানবেন?
ওয়্যারিং বদল করুন:
অনেকদিন ধরে বাড়িতে একই ওয়্যারিং ব্যবহার করলে তা বিদ্যুতের বিল বাড়িয়ে দেয়। এই কারণে পুরনো ওয়্যারিং যত দ্রুত সম্ভব বদলে ফেলতে হবে। তবে ওয়্যারিং-এর তার কেনার সময় গুণমানের দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে।
লাইট নির্দেশক বন্ধ রাখুন:
অকারণে বিদ্যুতের বেশি বিল দেওয়ার হাত থেকে বাঁচতে বাড়ির ইলেকট্রিক বোর্ডে Light Indicator টি অবশ্যই বন্ধ রাখতে হবে। বাড়িতে ৩ টি ইন্ডিকেটর থাকলে দৈনিক ৬০-৭০ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয়। যা বাড়িয়ে দেয় বিদ্যুৎ খরচের পরিমাণ।
অপ্রয়োজনে সুইচ অন রাখা চলবে না :
অনেক সময় দেখা যায় তাড়াহুড়োর মধ্যে অনেকেই লাইট,পাখা অফ না করেই ঘর ছেড়ে চলে যান। তখন অপ্রয়োজনে বিদ্যুৎ নষ্ট হতে থাকে। তাই এবার থেকে যখনই প্রয়োজন শেষ হবে সঙ্গে সঙ্গে ফ্যান, লাইট সহ অন্যান্য সব ডিভাইস বন্ধ করে দেওয়ার অভ্যাস করতে হবে। অপ্রয়োজনে বারবার ফ্রিজের দরজা খোলাও উচিত নয়।
ভালো মানের ডিভাইস ব্যবহার করুন:
বিদ্যুতের বিল কমানোর জন্য প্রয়োজন বাড়িতে ভালো মানের ইলেকট্রিক ডিভাইস ব্যবহার করা। তাই যে কোনও নতুন ডিভাইস কেনার সময় স্টার রেটিং দেখে নিতে হবে। তাই বাড়িতে সবসময় ৫ স্টার ডিভাইসই কেনা উচিত। তাই বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে এবং যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা কমাতে সবসময় ISI চিহ্নিত পণ্য ব্যবহার করতে হবে।
AC-র যত্ন নিন:
বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার জন্য এয়ার-কন্ডিশনার এর থার্মোস্ট্যাটকে ২৫ডিগ্রি সেলসিয়াসে সেট করা যেতে পারে । AC-র তাপমাত্রা প্রতি ডিগ্রি বাড়ানোর জন্য বিদ্যুৎ খরচ প্রায় ৫ শতাংশ করে কমতে থাকে। গরমের শুরুতেই AC সার্ভিস করানো প্রয়োজন। এছাড়া AC-র সক্ষমতা বাড়াতে ফিল্টার পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন । যে ঘরে AC থাকে সেই ঘর এয়ার টাইট হওয়া প্রয়োজন ।
গরমের শুরুতে ফ্যান ব্যবহার করুন:
বিদ্যুতের বিল কমাতে চাইলে গরমের শুরুতেই এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করা যাবে। প্রথমে সিলিং কিংবা ফ্যান টেবিল ফ্যান ব্যবহার করতে হবে । জানা যায় এক ঘণ্টা ফ্যান চালাতে যেখানে ৩০ পয়সা খরচ হয় সেখানে এক ঘণ্টা AC চালানোর খরচ প্রায় ১০ টাকা।
বাল্ব:
বাড়িতে যদি CFL বাল্ব থাকে, তাহলে আজই তা বদলে একটি LED বাল্ব দিয়ে প্রতিস্থাপন করুন।
গিজার:
যদি কেউ শীতকালে গিজার ব্যবহার করেন, তবে বৈদ্যুতিক গিজারের পরিবর্তে গ্যাস গিজার ব্যবহার করতে পারেন। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।
Leave a Reply