পুজোর আগেই খুলে ফেলা হবে বাড়ির পুরনো মিটার! বাড়ি বাড়ি বসবে নতুন ১টি যন্ত্র
খুবই শক্তিশালী, কি নাম যন্ত্রটির?
পুজোর আগেই খুলে ফেলা হবে
বাড়ির পুরনো মিটার
বাড়ি বাড়ি বসবে নতুন ১টি যন্ত্র
খুবই শক্তিশালী, আধুনিক
যা বসালেই কমে যাবে লোডশেডিং
বন্ধ হবে বিদ্যুৎ চুরি
ইলেকট্রিক বিল নিয়ে
আর করা যাবে না দু নম্বরি
কি নাম যন্ত্রটির?
কীভাবে কাজ করবে?
ইলেকট্রিক মিটার নিয়ে বড়সড় পরিকল্পনা নিয়ে এলো পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন সংস্থা। এবার এমনি একটি উদ্যোগ বাস্তবায়ন হতে চলেছে যা শুনলে আনন্দিত হবেন সাধারণ মানুষ। এবার থেকে বাতিলের খাতায় যাবে পুরনো ইলেকট্রিক মিটার। পুজোর আগে আগে চালু হবে নতুন ইলেকট্রিক মিটারের পরিষেবা। নতুন ইলেকট্রিক মিটারটি হবে স্মার্ট মিটার, যাকে ডিজিটাল মিটারও বলা হয়। ইতিমধ্যেই জরিপের কাজ শুরু হয়ে গেছে। শীঘ্রই স্মার্ট মিটারের পরিষেবা শুরু হবে।
স্মার্ট মিটারের সুবিধাঃ
এক, স্মার্ট মিটারের সাহায্যে বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ সঠিকভাবে ট্র্যাক করা যায়।
দুই, স্মার্ট মিটার নির্ভুল রিডিং দেয়।
তিন, স্মার্ট মিটার প্রিপেইড পদ্ধতিতে কাজ করে। ফলে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারের আগেই পেমেন্ট করতে হয়। যা গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের যে সমস্ত ঝক্কি থাকে সেগুলোকে কমিয়ে দেয়।
চার, স্মার্ট মিটার বিদ্যুৎ চুরি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
পাঁচ, স্মার্ট মিটার বিদ্যুৎ ব্যবহারের হিসেব রাখে, যার ফলে গ্রাহক তাদের বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাত্রা সম্পর্কে সচেতন হতে পারে।
স্মার্ট মিটারের অসুবিধাঃ
এক, স্মার্ট মিটারের সুবিধা যেমন আছে, অসুবিধাও আছে। যেমন, স্মার্ট মিটারে প্রিপেইড সিস্টেম হওয়ার কারণে অনেকেই পেমেন্ট করতে পারেন না। কেউ কেউ অতিরিক্ত খরচের অভিযোগ তোলেন।
দুই, স্মার্ট মিটারে যে কোনও সময়, প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফলে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে।
তিন, স্মার্ট মিটারের পিছনে রাজ্য সরকারের ব্যয় অনেক বেশি হয়। যা সরকারের খরচ বাড়িয়ে তুলবে।
তবে এই ইলেকট্রিক মিটার রাজ্যে এই প্রথম নয়। এর আগেও ইলেকট্রিক মিটার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বসেছে। যেমন, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় ইলেকট্রিক মিটারের পরিষেবা শুরু হয়েছে। তবে সরকারের বর্তমান লক্ষ্যমাত্রা প্রতিটি বিদ্যুৎ গ্রাহককে স্মার্ট মিটারের আওতায় নিয়ে আসা।
Leave a Reply