জানেন বাবা লোকনাথের ছবির পিছনে লুকিয়ে আছে কোন রহস্য? এই ছবি আঁকতে গিয়েই জ্ঞান হারান শিল্পী, কি ঘটেছিল শিল্পীর সঙ্গে?

জানেন বাবা লোকনাথের ছবির পিছনে লুকিয়ে আছে কোন রহস্য? এই ছবি আঁকতে গিয়েই
জ্ঞান হারান শিল্পী, কি ঘটেছিল শিল্পীর সঙ্গে?

জানেন বাবা লোকনাথের ছবির পিছনে
লুকিয়ে আছে কোন রহস্য?

কে এঁকেছিলেন এই ছবি?
এই ছবি আঁকতে গিয়ে জ্ঞান হারিয়েছিলেন শিল্পী

কি ঘটেছিল শিল্পীর সঙ্গে?
শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে

” রণে, বনে, জঙ্গলে যখনই বিপদে পড়িবে আমাকেই স্মরণ করিবে ” – বাবা লোকনাথের এই সংলাপটি আমাদের সকলেরই জানা। বাবা লোকনাথের নাম শুনলেই মনে ভাসে সেই ছবি, যেখানে গেরুয়া বসনধারী, মাথায় সাদা চুলের জটাধারী, স্নিগ্ধ, মনোরমরুপে বসে আছেন এক বর্ষীয়ান সাধু। যার দু চোখের দিকে তাকালেই যেন মনে হয় সমস্ত বিপদ-আপদ, শোক,তাপ, জরা, ব্যধি দূর হয়ে যায়। আমরা বিপদে পড়লে কিংবা কোনও সমস্যার সম্মুখীন হলে প্রায়শই বাবা লোকনাথকে ডেকে থাকি। কেউ কেউ আবার বুক পকেট কিংবা মানি ব্যাগেও বাবা লোকনাথের ফটো রাখি। বিশ্বাস করি যে যাই হয়ে যাক বাবা আমাদের রক্ষা করবেন। আমাদের বেশির ভাগের কাছেই বাবা লোকনাথের যে ছবিটি থাকে সেটি সার্বজনীন গৃহীত একটি ছবি। এই ছবিই সর্বত্র পূজিত হয়। ছবিতে দেখা যায় বাবা লোকনাথ শান্ত নয়নে, ধ্যানরত অবস্থায় অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে আছেন।

আমাদের বেশির ভাগের কাছেই এই ছবিটি থাকে। এই ছবির পিছনে এক রহস্যময় অধ্যায় লুকিয়ে রয়েছে। যা শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে আপনারও। বাবা লোকনাথের এই ছবিটি তুলেছিলেন তৎকালীন দেশীয় রাজ্য ভাওয়ালের রাজা। তার এই ছবিই আজ বিশ্ববন্দিত। শোনা যায়, ভাওয়াল রাজার তোলা সেই ছবিকে পেন্টিং এ রুপ দেওয়ার পরিকল্পনা করেন বিখ্যাত নাগ পরিবারের প্রেমরঞ্জন নাগের স্ত্রী রেণুকা নাগ। এরপর তিনি দুর্গেশ বন্দ্যোপাধ্যায় নামের এক প্রতিভাবান শিল্পীকে বাবা লোকনাথের ছবি আঁকার দায়িত্ব তুলে দেন। এই ছবি আঁকতে গিয়েই শিল্পীর সঙ্গে ঘটে একের পর এক অদ্ভুত অদ্ভুত কাণ্ড। দুর্গেশ বাবু বাবা লোকনাথের ছবি আঁকার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানিয়েছিলেন, তিনি যখন বাবা লোকনাথের ছবি আঁকতে বসতেন মাঝে মাঝেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হতেন। ছবি আঁকতে আঁকতেই তিনি ঘোরের মধ্যে চলে যেতেন। কখনও কখনও তিনি অনুভব করতেন তার পাশ দিয়ে কোনও ছায়া চলে যাচ্চে, আবার কখন তিনি প্রত্যক্ষ করতেন ছবিতে থাকা বাবা লোকনাথ যেন তার দিকে চেয়ে আছেন। তিনি যেন জীবিত হয়ে উঠছেন। এই সব কাণ্ডের জেরে তিনি কিছুতেই বাবা লোকনাথের চোখ আঁকতে পারছিলেন না। এরপর একদিন বাগানে হাঁটার সময় তার সঙ্গে ঘটে যায় এক অলৌকিক কাণ্ড। তার সামনে হঠাৎ তীব্র আলোকজ্যোতি নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন স্বয়ং বাবা লোকনাথ। সাথে সাথে তিনি জ্ঞান হারান। এরপর বাড়ি ফিরেই এঁকে ফেলেন বাবা লোকনাথের চোখ। আপনারা লক্ষ্য করে থাকবেন, বাবা লোকনাথের একটি চোখের মণি উর্ধগামী ও অপরটি নিম্নগামী। এই উর্ধ্বগামী চোখটি মহাবিশ্ব এবং নিম্নমুখী চোখটি অন্তঃস্থ জগতের প্রতীক।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *