কীভাবে নকল ডিম বানানো হয় জানেন? বাড়ি বসে কীভাবে ধরবেন নকল ও আসল ডিমের পার্থক্য?
কীভাবে নকল ডিম
বানানো হয় জানেন?
বাড়ি বসে কীভাবে ধরবেন
নকল ও আসল ডিমের পার্থক্য?
নকল ডিমেই লুকিয়ে
ক্যান্সারের মারাত্মক জীবাণু!
একবার পেটে গেলেই
সাক্ষাৎ যমদুয়ার!
নিজের চোখেই দেখুন
নকল ডিমের কারবার
বাজারে এসেছে ডিমের নকল। আজকাল আসল ডিমের চেয়েও বেশি বিকোচ্ছে নকল ডিম। আর এই নকল ডিম আপনারা খাচ্ছেন প্রতিদিন। আসল ডিম ভেবে ব্রেকফাস্ট থেকে ডিনার সর্বত্র রাখছেন নকল ডিম। এই ডিম দেখে ধরতেও পারবেন না মুরগির দেওয়া ডিম নাকি মানুষের বানানো ডিম। এই ডিম খেয়েই অগণিত মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তারা বুঝতেও পারছেন না, নকল ডিমের কারণেই তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। চায়নাতে নকল ডিমের বিক্রি প্রথম শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে অন্যান্য দেশেও এই ডিমের বিক্রি শুরু হয়েছে। সামনেই পুজোর মরশুম, ফাস্ট ফুডের চাহিদা বেড়ে যাবে। হয়ত সেখানেও ঘাপটি মেরে থাকতে পারে, নকল ডিম। তাই
চলুন বন্ধুরা আজকের প্রতিবেদনে দেখে নিন কিভাবে চিনবেন নকল ডিম, কেনই বা এই ডিম খেয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
সোডিয়াম আলগিনেটর গেলেটিন হচ্ছে নকল ডিমের উপরের সাদা নরম অংশটি। এর মধ্যে থাকে ক্যালসিয়াম। শুধু তাই নয়, একই সাথে থাকে প্যারাফিন ওয়াক্স, যা ক্যন্সারের অন্যতম কারণ। বলা যায়, প্যারাফিন খেলেই মানুষের শরীরে ক্যান্সার আসে। থাকছে ফুড কালার। এই ফুড কালারের মধ্যে এমন কিছু ক্যামিক্যাল থাকে যা আপনার প্রাণ কেড়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট। হালকা গরম জলে প্রথমে সোডিয়াম আলগিনেটকে পরিমাণ মত দেওয়া হয়, ভালো করে মিক্স করে দেওয়া ডিমের শেপ। সঙ্গে আরও অন্যান্য ক্ষতিকারক রাসায়নিকও মেশানো হয়। ডিমের টেস্ট অর্থাৎ ফ্লেভার আনার জন্য দেওয়া হয়, ডিমের কুসুম বানানোর জন্য একই রকমের হলুদ রং ব্যবহার করা হয়। যার ফলে নকল ডিমটি হুবুহু দেখতে আসল ডিমের মতন লাগে। এই সময় আরও অনেক ক্যামিক্যাল মেশানো হয়।
এবার আসি ডিমের বাইরের খোসা বানানোর কথায়। এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় একধরনের বিষাক্ত পাউডার, সঙ্গে থাকে ক্যালসিয়াম কার্বনেটের গুঁড়ো। এগুলো ছাড়াও ব্যবহৃত হয় ৫ রকমের আরও ভয়ংকর ক্যামিক্যাল। সবগুলো মিক্স করে বানানো হয় ডিমের খোলস। এবার ঠাণ্ডা মাথায় ভাবুন আপনি কি খাচ্ছেন? আসল ডিম নাকি নকল ডিম। আপনার পাতে যে ডিম সেটি আসল নাকি নকল? চিনবেন কীভাবে? এই ডিম আপনাকে কোনও ভাবে ভিটামিন দেবে না। বরং তিলে তিলে আপনার প্রাণ কেড়ে নেবে। আসল ডিম যখন ভাঙবেন তখন ডিমের ভিতরের সাদা অংশের সঙ্গে ডিমের ভিতরের কুসুম সহজে মিলবে না। যতক্ষণ না আপনি মেলাচ্ছেন জোর করে। নকল ডিমের ক্ষেত্রে তা হয় না। ডিমের কুসুম মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। আসল ডিম বাইরে থেকে খসখসে হয়। চকচকে হয় না। সাদা রং ধবধবে হয় না। কিন্তু নকল ডিমের সবটাই আবার উল্টো। বাইরের দিকটা মসৃণ, তেলতেলে। একেবারে ধবধবে সাদা। গায়ে থাকবে না কোনও ময়লা। দেখতেও খুব ভালো লাগবে। আসল ডিম ভাঙলে যে আঁশটে গন্ধ পাওয়া যায়, নকল ডিমে সেই গন্ধ পাওয়া যায় না। আঁশটে গন্ধই ডিমের আসল পরিচয়। আসল ডিমের কুসুম কাটার পর ধূসর বর্ণের হয়। কিন্তু নকল ডিমের কুসুম হলুদ থাকে। নকল ডিমকে সেদ্ধ করার পরেও কুসুম হলুদ থেকে যায়। আসল ডিমের খোলস আগুনে পোড়ালেও সহজে পুড়বে না। কিন্তু নকল ডিমের খোলস আগুনে পোড়ালে সহজে পুড়ে যাবে। আসল ডিম নাড়ালে ডিমের ভিতর থেকে কোনও আওয়াজ পাওয়া যায় না। কিন্তু নকল ডিম নাড়ালে ডিমের ভিতর থেকে জলের আওয়াজ পাওয়া যায়। এই যে আসল ডিম ও নকল ডিমের তফাৎগুলো বললাম, এগুলো আপনি ডিম কেনার আগে অবশ্যই মিলিয়ে নেবেন। যদি একটিও বৈশিষ্ট্য আপনার চোখে পড়ে, তাহলেই সাবধান। কারণ এই ডিম আপনাকে প্রোটিন নয় বরং ধবংসের পথে নিয়ে যাবে। এই ডিম এক, দু সপ্তাহ খেলে আপনার কিছুই হবে না। আস্তে আস্তে এই ডিম খেতে খেতে যখন আপনি এক, দু বছর পার করে ফেলবেন তখন শুরু হবে প্রতিক্রিয়া। শরীরে ঢুকবে ক্যান্সারের মতন ব্যাধি। যা আপনাকে তিলে তিলে শেষ করে দেবে। ভিডিও কেমন লাগল জানাবেন। ভালো লাগলে শেয়ার করে বাকিদেরও সতর্ক হতে সাহায্য করুন।
Leave a Reply