সেই প্রাচীনকাল থেকেই বিপরীত লিঙ্গের প্রতিই যত আকর্ষণ এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের প্রতি প্রাণীর। মনুষ্য জাতিও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই যুগে যুগে পুরুষ এবং নারী উভয়েই একে অপরের প্রতি গভীর আকর্ষণ অনুভব করেন। সেই আকর্ষণে যে সবসময় যৌনতা থাকে,তা নয়। থাকে নিখাদ ভাললাগাও। বিশেষ করে বয়ঃসন্ধির কালে এই আচরণ অত্যন্ত স্বাভাবিক বলেই জানা যায়। তবে মেয়েদের ওপর পুরুষজাতির বরাবরের অভিযোগ ‘মেয়েদের মন বড়ই জটিল!’
যা নস্যাৎ করে বরাবরই উল্টোটাই দাবি করেন গোটা নারীজাতি। প্রসঙ্গত মেয়েদের প্রতি জন্মানো কৌতূহল থেকেই তাঁদের ছোটোখাটো আচরণ দেখে ছেলেদের মনের মধ্যে উঁকি দেয় এক নানা ধরণের প্রশ্ন। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ‘হতাশ ‘হতে হয়, তাদের। তাই জানার আগ্রহ আরও বেড়ে যায়। একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে মেয়েরা চুড়িদার পরে রাস্তাঘাটে বেরোলে তাদের অবাধ্য হাত মাঝেমধ্যেই চলে যায় ওড়নার ওপর। কখনও ভিড় রাস্তায়, তো কখনও ছেলে দেখলে বারবার ওড়না ঠিক করতে দেখা যায় মেয়েদের। কিন্তু এর কি কারণ? ইটা কি নিতান্ত সাধারণ একটি বিষয় ? নাকি এর পিছনেও কোনো সাইকোলজি কাজ করে? এই সময় মেয়েদের মাথার মধ্যে ঠিক কি চলতে থাকে? এসব প্রশ্নেরই উত্তর পেতে চায় ছেলেরা। আসুন তাহলে জানা যাক মেয়েদের বারবার ওড়না ঠিক করার পিছনে থাকা বিশেষ কয়েকটি কারণ।
১) বুকের ওড়না ঠিক করা – রাস্তাঘাটে বের হলে সবার প্রথমে চোখের দৃষ্টি দিয়েই মেয়েদের শরীরের মাপ নিতে শুরু করে কয়েকজোড়া লোভী চোখ। মেয়েদের ফিগার দেখে কিংবা টাইট পোশাক দেখলেই একদল নিন্ম রুচির মানুষ ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে মেয়েদের বুকের দিকেই।তাই তাদের কুদৃষ্টি এড়ানোর জন্যই নিজেদের ওড়না টেনে নিয়ে থাকেন মেয়েরা।
২) অস্বস্তিতে থাকার সময় – রাস্তাঘাটে কোনো সময় মন চঞ্চল থাকলে অস্বস্তি থেকেই হাতের মধ্যে ওড়না নিয়ে তা নাড়াচড়া করতে থাকে মেয়েরা। কিন্তু তখন তাদের মাথায় আর মনের ভিতর কি চলছে তা বোঝা সত্যিই খুব মুশকিল। অনেকে অবশ্য মনে করেন যে মেয়েদের এই ব্যবহারের কোন অর্থ নেই। এটি নিতান্ত সাধারণ একটি আচরণ। তাই এই বিষয় নিয়ে অকারণ মাথা ঘামানোর কোন মানে নেই।
৩) মাথায় ওড়না টানা – অনেক সময় দেখা যায় সামনে কোন ছেলে বা বৃদ্ধ এলে মাথায় ওড়না টেনে নেয় মেয়েরা। এর পিছনে থাকে তাঁদের বাড়ির শিক্ষা। কারণ অনেকে মনে করেন বয়সে বড় কেউ সামনে এলে সম্মান বশত তারা মাথায় ওড়না টেনে নেয়। তাই এটা আসলে তাঁদের ভদ্রতার পরিচয়।
Leave a Reply