হঠাৎ বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধ শুরু করল কাঙ্গাল *শ্রীলঙ্কা*! দেউলিয়া হয়েও কীভাবে মেটালো মোটা অঙ্কের ঋণ? কি ঘটছে শ্রীলঙ্কার অন্দরে?

হঠাৎ বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধ শুরু করল কাঙ্গাল *শ্রীলঙ্কা*! দেউলিয়া হয়েও কীভাবে মেটালো
মোটা অঙ্কের ঋণ? কি ঘটছে শ্রীলঙ্কার অন্দরে?

হঠাৎ বাংলাদেশের ঋণ
পরিশোধ শুরু করল কাঙ্গাল *শ্রীলঙ্কা*!

মাত্র দেড় বছরেই
বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দিল
মোটা অঙ্কের ঋণ!

কিন্তু শ্রীলঙ্কার শূন্য কোষাগারে
কোথা থেকে এলো এত টাকা?

দেউলিয়া হয়েও কীভাবে মেটালো
মোটা অঙ্কের ঋণ?

কি ঘটছে শ্রীলঙ্কার অন্দরে?
তোলপাড় বিশ্বমঞ্চে

মাত্র দেড় বছরে পাল্টে গেল শ্রীলঙ্কার চেহারা! যে শ্রীলঙ্কা কিছু দিন আগেও ধার, দেনায় জর্জরিত ছিল, দেউলিয়ে হয়ে বিশ্বমঞ্চে ভিক্ষের ঝুলি নিয়ে বেরিয়েছিল, সেই শ্রীলঙ্কা এখন মোটা অঙ্কের ধার দেনা মিটিয়ে দিচ্ছে চোখের নিমেষে! ইতিমধ্যেই বাংলাদেশকে শোধ করল ঋণের ৫০ মিলিয়ন ডলার। একই সাথে আরো ৫০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করার কথা জানিয়েছে। দেউলিয়া ঘোষিত শ্রীলঙ্কা কীভাবে এই মোটা অঙ্কের ঋণ পরিশোধ করছে? কীভাবে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠছে দেশটি! গোটা বিষয়টি শোরগোল ফেলেছে বিশ্বমঞ্চে।

কারেন্সি সোয়াপ পদ্ধতির আওতায়, ২০২১ সালে বাংলাদেশের কাছ থেকে ১ বছর মেয়াদের ২০০ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। গত বছর নেওয়া এই ঋণের মেয়াদ ছিল গত মে মাস পর্যন্ত। কিন্তু গুরুতর অর্থনৈতিক ও মানবিক সংকটের জেরে সেই ঋণ শোধ করতে ব্যর্থ হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। সেই সময় আমাদের কাছে এমন তথ্যও ছিল যে, শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। অস্বাভাবিক মুদ্রাস্ফীতি ও চরম আকারের ঋণের বোঝার টাল সামালতে পারছিল না দেশটি। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া ঘোষিত হয় শ্রীলঙ্কা। এই পরিস্থিতে, বাংলাদেশের কাছ থেকে নেওয়া ২০০ মিলিয়ন ঋণ শোধের জন্য সময় নেয় শ্রীলঙ্কা। সময় নিলেও হঠাৎ শোনা যাচ্ছে, শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশ থেকে নেওয়া ২০০ মিলিয়ন ঋণের এক চতুর্থাংশ অর্থাৎ ৫০ মিলিয়ন ডলার শোধ করে দিয়েছে।

শ্রীলঙ্কা হঠাৎ এই ঋণ শোধের বিষয়টি ভাবাচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলকে। দেউলিয়া হওয়ার জেরে শ্রীলঙ্কায় ব্যাপকভাবে রাজনৈতিক হিংসা বেড়ে গিয়েছিল। যার পরিণতিতে শ্রীলঙ্কা সরকারকে পদত্যাগ পর্যন্ত করতে হয়েছিল। দেশ ছাড়তে হয়েছিল দেশটির তৎকালীন রাষ্ট্রপতিকেও। তবে এই পরিস্থিতি এখন অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে পেরেছে শ্রীলঙ্কা। কারণ ধীরে ধীরে শ্রীলঙ্কার হাল ফিরিয়ে দিচ্ছে সেখানকার পর্যটন খাতগুলো। মূলস্রোতে ফিরতে দেশটির ভরসা এখন পর্যটন শিল্প। একই সাথে জ্যামিতিক হারে বাড়ছে শ্রীলঙ্কার রেমিটেন্স। এই দুটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে পুনরায় অর্থনৈতিক দিক থেকে সাবলীল হতে শুরু করেছে শ্রীলঙ্কা। বিশেষজ্ঞদের মতে এইভাবে দেশটি নিজেদের চুপসে যাওয়া কোষাগারের প্রাণ ফিরিয়ে আনছেন। গত বছরের তুলনায় পর্যটন ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার আয় বেড়েছে ১৫% বেশি, একই সাথে রেমিটেন্স বেড়েছে ৭৬%। এই ১ বছরে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে নজরকাড়া উন্নতি হয়েছে শিল্পখাতে। এই ধারা অব্যহত রাখলে শ্রীলঙ্কা আবারও ঘুরে দাঁড়াবে। সত্যি জিরো থেকেও যে হিরো হওয়া যায় তারই উদাহরণ শ্রীলঙ্কা। আশা করি যে শ্রীলঙ্কা সুদূর ভবিষ্যতে আবারও নিজেদের অবস্থা দৃঢ় করতে সক্ষম হবে সেই সাথেই কামনা করি দেশটির মানুষ আবারও অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানে সমৃদ্ধ হয়ে উঠুক।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *