মদন মিত্র

বঙ্গ রাজনীতির ‘কালার ফুল’ বয় মদন মিত্র। বাংলার মানুষের মুখে মুখে ঘোরে তাঁর ‘ওহ লাভলী’ সংলাপ। জানেন রাজ্যের শাসক দলের এই পোড় খাওয়া নেতার বিদ্যার দৌড় কতদূর? মদন মিত্রের শিক্ষাগত যোগ্যতা অবাক করে দেবে আপনাকেও।

বাংলার রাজনীতির ‘কালারফুল বয়’ হলেন মদন মিত্র। বিতর্ক যেন সর্বক্ষণ তাঁর হাত ধরাধরি করেই চলে। রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকলেও মদন মিত্র বরাবরই হাসিখুশি প্রাণখোলা স্বভাবের। রাজ্যের শাসকদলের পোড় খাওয়া এই নেতা এখন সোশ্যাল মিডিয়াতেও দারুন সক্রিয়। তাই মদন মিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন ছবি কিংবা ভিডিও শেয়ার করা মাত্রই তা ভাইরাল হয়ে যায় মুহূর্তের মধ্যে। সদ্য কামারহাটির এই তৃণমূল বিধায়ক নাম লিখিয়েছেন বড় পর্দাতেও।

রাজনীতির পাশাপাশি এখন চুটিয়ে অভিনয়ও করছেন তিনি। সদ্য মুক্তি পেয়েছে মদন মিত্র অভিনীত বাংলা সিনেমা ‘ওহ লাভলী’। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন তাঁর সেই বিখ্যাত সংলাপটাকেই বেছে নেওয়া হয়েছে সিনেমার নাম হিসেবে ষ। গোটা সিনেমাজুড়ে মদন মিত্র কখনও হেসেছেন আবার কখনও মন খুলে নেচেছেন। সব মিলিয়ে পর্দায় তাঁর সাবলীল অভিনয় দেখে অবাক হয়েছেন দর্শকরাও। অভিনয়ের পাশাপাশি নিজেকে সঙ্গীত শিল্পী হিসাবেও প্রমাণ করেছেন তিনি।

কিন্তু আপনি কি জানেন রাজনীতির সাথে যুক্ত হাসিখুশি মদন মিত্রের বিদ্যার দৌড় কত দূর? জানলে অবাক হবেন পড়াশোনার দিক দিয়েও কিন্তু কোনো অংশে পিছিয়ে নেই তিনি। জানা যায় ১৯৭১ সালে South Suburban School থেকে পড়াশোনা শেষ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করেছেন মদন মিত্র। আশুতোষ কলেজে একটা সময় ইউনিয়ন প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। ১৯৭৩ সালে রাজনীতির ময়দানে প্রথম হাতেখড়ি হয় তাঁর।

জানা যায় পরবর্তীতে দক্ষিণ কলকাতায় ভারতীয় যুব কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন তিনি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করতেই ২০০০ সালে মদন মমিত্র কংগ্রেস ছেড়ে এসে যোগ দেন প্রিয় দিদির দলে। সেসময় তিনি ছিলেন দলের জেনারেল সেক্রেটারি। এরপর পদোন্নতি হলেও, ২০১৪ সালে সারদা টিট ফান্ড কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছিলেন মদন মিত্র । কিন্তু সেসব এখন অতীত। বর্তমানে তিনি বঙ্গ রাজনীতির কালারফুল বয়। বাংলা জুড়ে অসংখ্য ফ্যান ফলোয়িং তাঁর। যা টেক্কা দিতে পারে বড় বড় ফিল্ম স্টারদেরও।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *