হিজাব না পড়ায় ১৪ জন ছাত্রীর মাথার উপর জঘন্যতম কাণ্ড ঘটালেন এক শিক্ষক! শিক্ষকের কাণ্ডে মুখই দেখাতে পারছেন না ওই ১৪জন ছাত্রী
হিজাব না পড়ায়
১৪ জন ছাত্রীর মাথার উপর
জঘন্যতম কাণ্ড ঘটালেন এক শিক্ষক!
শিক্ষকের কাণ্ডে মুখই
দেখাতে পারছেন না ওই ১৪জন ছাত্রী!
বন্ধ করে দিয়েছে স্কুলে আসা!
রেগে কাঁই অভিভাবক মহল!
ঠিক কি ঘটেছে?
( *র্বরতা* শব্দে এলারট পড়তে পারে )
কথায় বলে, মনে শুদ্ধতা না এলে সমাজেও আসে না শুদ্ধতা। ইন্দোনেশিয়ার SMPN-1 স্কুল যেন তারই উদাহরণ। এই স্কুলটির ঘটনা নাড়িয়ে দেবে আপনাকেও। যেখানে শিক্ষকদের বলা হয় সমাজ গড়ার কারিগর। সেখানে আজ এক শিক্ষকের হাতেই বিপন্ন সমাজ। ক্ষতিগ্রস্থ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। ইন্দোনেশিয়ার লামোনগানের পূর্ব জাভা শহরে অবস্থিত এই SMPN -1 স্কুল। *জানা যায়,হিজাব না পড়ায় এই স্কুলেই ১৪ জন ছাত্রীর মাথা মুড়িয়ে দেন এক শিক্ষক।* তাদের একমাত্র অপরাধ তারা হিজাব পরে আসেনি। হ্যাঁ! ঠিকই শুনছেন এমনই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে ওই স্কুলে। লজ্জায়, অপমানে ভেঙে পড়েন ছাত্রীরা।
২৭০ মিলিয়ন জনসংখ্যার এই দ্বীপ রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া। এই দেশে আগে এমনই মুসলিম ও অমুসলিম মেয়েদের জোর করে হিজাব পড়তে বাধ্য করা হত। তবে ২০২১ সালের পর থেকে, স্কুলগুলোতে এমন বাধ্যতামূলক পোশাক পড়ার নিয়ম বাতিল করে দেয় দেশটি। তার পরেও কেন এমন ঘটনা সেই নিয়েই হতবাক সকলে। ওই শিক্ষকের পরিচয় গোপন রেখে। এই প্রসঙ্গে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হার্তোর দাবী “তার স্কুলের একজন শিক্ষক ১৪ জন মুসলিম মেয়ের চুল কেটে দিয়েছেন, স্কুল এ বিষয়ে ক্ষমাপ্রার্থী, ওই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে “।
চাপের মুখে প্রধান শিক্ষকের গলায় যেন সাফাইয়ের সুর। তার আরও বক্তব্য ” শিক্ষার্থীদের হিজাব পরার কোনো বাধ্য-বাধকতা নেই। তবে অভ্যন্তরীণ ক্যাপ পরার পরমার্শ দেওয়া হয়েছে। আমরা তাদের মা – বাবার কাছে ক্ষমা চেয়েছি। এ ছাড়াও এই ছাত্রীদের বিদ্যালয়ের তরফ থেকেই দেওয়া হবে মানসিক সহায়তা ”
এদিকে এই ঘটনায় পৃথিীব্যাপী শুরু হয় আন্দোলন। ‘হিউম্যান রাইটস ইন্দোনেশিয়ার গবেষক’ ‘আন্দ্রেয়াস হারসোনো’ বলেন “এই ঘটনাটি সম্ভবত ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে ভয়ানক ঘটনা। শিক্ষা দপ্তরের উচিত এক্ষুনি এই শিক্ষককে আজীবন নিষিদ্ধ করা। এবং ভুক্তভোগীদের জন্য স্পেশাল ট্রমা কেয়ার ইউনিটের মনোবিজ্ঞানী নিয়োগ করা।”
যেখানে আজ মানুষ চাঁদে পাড়ি দিচ্ছে। যন্ত্র বই লিখছে। ঠিক সেইসময় দাড়িয় কিছু মানুষ আজও পড়ে রয়েছে অন্ধকার যুগে।
Leave a Reply