অসম্ভবকে সম্ভব করে গত ২৩ আগস্ট ইসরোর পাঠানো তৃতীয় চন্দ্রজান পৌঁছেছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। তারপর থেকেই ভারতীয়দের মধ্যেও মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে তৈরি হয়েছে সীমাহীন কৌতুহল। মহাকাশ বিজ্ঞানের জগতে নতুন ইতিহাস তৈরির পর এখন গোটা বিশ্বের চোখ ভারতের দিকেই। তাই এখন মহাকাশেও ভারতের যে ভারতের আধিপত্য বাড়ছে তা বলাই বাহুল্য। দেশের কোটি কোটি পড়ুয়া অর্থাৎ দেশের নতুন ভবিষ্যৎরাও এখন আকৃষ্ট হচ্ছেন এই মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে। তাই এখন নতুন প্রজন্মও ভাবতে শুরু করেছেন কিভাবে মহাকাশ বিজ্ঞানী হওয়া যায়? ইসরো তে চাকরি পেতে গেলেই বা কি ধরনের কোর্স করা দরকার? মহাকাশচারী হতে গেলে কি কি ডিগ্রি থাকা আবশ্যিক? তাই যদি আপনিও নিজে কিংবা আপনার সন্তানরা ভবিষ্যতে মহাকাশচারী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তাহলে আপনাদের সকলের জন্যই থাকছে এক বিরাট সুযোগ। তাই এবার সত্যি হতে পারে আপনারও মহাকাশ বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন।
বিএসসি এবং বিটেক
তাই মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে ক্যারিয়ার তৈরি করতে আগ্রহী হলে বিটেক কিংবা বিএসসি এই দুটি কোর্স প্রথমে করতে হয়। যে কোনো বড় বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কোন আইআইটি তে থেকেই এই কোর্স করা যায়। এই কোর্স গুলি হল B.Tech in Space Technology বা B.Tech in Space Engineering। তবে অনেক প্রতিষ্ঠানে বিটেক-এর পরিবর্তে BE ডিগ্রী দেওয়া হয়। তবে BE এবং বিটেক কিন্তু একই মানের। এদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। এই কোর্স দুটি হয় চার বছরের। IISc বেঙ্গালুরু মহাকাশ বিজ্ঞানের উপর অনেক কোর্স করায়।
কী কী কোর্স?
এখন নিজের দেশে থেকেই মহাকাশ বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব। তার জন্য মহাকাশ বিজ্ঞান সম্পর্কিত বেশ কিছু কোর্স আছে। UG, PG থেকে PhD পর্যন্ত পড়াশোনা শেষ করে ISRO, DRDO, HAL, National Aeronautical Limited, National Space Research and Development Agency-এ চাকরি পেতে পারেন আগ্রহীরা। চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পদের জন্যও আবেদন করা যেতে পারে। এখানে অ্যাস্ট্রোনমার, স্পেস সায়েন্টিস্ট,অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট, স্যাটেলাইট টেকনিশিয়ান, জিওলজিস্ট, রাডার টেকনিশিয়ান, রোবোটিক টেকনিশিয়ান, ইত্যাদি পদে নিয়োগ করা হয়।
ISRO কিভাবে সাহায্য করে?
শিক্ষার্থীদেরদের মহাকাশ বিজ্ঞানে আগ্রহ বজায় রাখতে অনেক কোর্স ISRO নিজেই চালায়। ইয়ং সায়েন্টিস্ট প্রোগ্রাম স্কুলের বাচ্চাদের জন্য ইউভিকা নামে চালানো হয়। অনলাইন মাধ্যমে নির্বাচিত ছাত্রদের সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা কেন্দ্রীয় সরকারি বিজ্ঞান কেন্দ্রগুলিতে আনা হয়। কোর্স সম্পন্ন হওয়ার পর সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের ISRO থেকে শংসাপত্রও দেওয়া হয়।
এছাড়া দেরাদুনেই রয়েছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ রিমোট সেন্সিং,যা ভারত সরকারের অধীন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনস্টিটিউট। এখানে স্পেস এরিয়া সম্পর্কিত লাইভ ক্লাসের পাশাপাশি রয়েছে ই-লার্নিং -এর ব্যবস্থাও। ISRO অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কোর্স করাচ্ছে। ISRO ছাত্র-ছাত্রীদের ইন্টার্নশিপ করারও সুযোগ দেয়।
Leave a Reply