শীঘ্রই গায়েব হয়ে যাবে বিক্রম-প্রজ্ঞান! টানা দু সপ্তাহ ঘুমাবে চাঁদের মাটিতে, বিচ্ছিন্ন করে দেবে ইসরোর সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ
শীঘ্রই গায়েব হয়ে
যাবে বিক্রম-প্রজ্ঞান !
টানা দু সপ্তাহ ঘুমাবে
চাঁদের মাটিতে!
অকেজো হয়ে যাবে
সমস্ত কলকব্জা !
বিচ্ছিন্ন করে দেবে
ইসরোর সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ !
আর পাঠাবে না কোনও তথ্য !
হঠাৎ কেন হবে এমনটা?
কিছুদিন আগেও যে চন্দ্রযান ৩ কে ঘিরে এত আনন্দ, এত হুল্লোড়, এবার সেই চন্দ্রযান ৩ কে ঘিরে চিন্তায় পড়েছে গোটা দেশ। অবাক হচ্ছেন, ভাবছেন কেন বলছি এইসব কথা! আসলে চন্দ্রযান ৩ যেখানে ল্যান্ড করেছে, অর্থাৎ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে, সেখানে ১৪ দিন রাত, ১৪ দিন সকাল। সহজ ভাষায় বললে, পৃথিবীতে সকাল ও রাতের পার্থক্য মাত্র ১২ ঘণ্টা। কিন্তু চাঁদের ক্ষেত্রে সকাল ও রাতের পার্থক্য ২৮দিন। চাঁদে ১৪ দিন রাত ও ১৪ দিন সকাল। চন্দ্রযান ৩ কে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামানো হয়েছে সকাল বেলায়। আর এমন ভাবে নামানো হয়েছে যাতে চাঁদের ১৪ দিনের সকালগুলোর মধ্যে প্রথম সকালটি পাওয়া যায়। সেই কারণেই ২৩ আগস্ট চন্দ্রযান ৩ কে চাঁদে নামানো হয়। ২৩ আগস্ট ছিল চাঁদের সকাল বেলার প্রথম ১টি দিন। হিসেব করে দেখলে চন্দ্রযান ৩ ইতিমধ্যে গুনেগুনে চাঁদের পাড়ায় ১১টি সকাল কাটিয়ে ফেলেছ। পড়ে রইল আর মাত্র ৩ দিন। ৫ ই সেপ্টেম্বর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নেমে আসবে রাত। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে রাত নামার সাথে সাথে ভয়ানকভাবে কমে যাবে তাপমাত্রা। যা এতটাই অসহনীয় হবে যে, চন্দ্রযান ৩ কে সম্পূর্ণ অকেজো করে দেবে। চন্দ্রযান ৩ সম্পূর্ণ সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত। অর্থাৎ সূর্যের আলোর মাধ্যমে চন্দ্রযান ৩ কাজ করতে সক্ষম। এদিকে চাঁদে রাত নামার সাথে সাথেই চন্দ্রযান ৩ সূর্যের আলোর অভাবে শক্তি হারাবে। চন্দ্রযান ৩ আর কাজই করতে পারবে না। ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়বে।
চন্দ্রযান ৩ এর জন্য উপযুক্ত কেবল মাত্র চাঁদের সকাল বেলা। তাই সূর্যের আলো থাকতে থাকতে সব কাজ সেরে ফেলছে রোভার প্রজ্ঞান। ইতিমধ্যেই চাঁদ সম্পর্কে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে চন্দ্রযান ৩। চাঁদের মাটিতে মূল্যবান ৯টি উপাদানের হদিশ দিয়েছে রোভার প্রজ্ঞান। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে দুই বন্ধু বিক্রম ও প্রজ্ঞান। আর তাদের উপর সর্বক্ষণ নজর রেখে চলেছে ইসরো। তবে ৫ সেপ্টেম্বর চন্দ্রযান ৩ এর সাথে কি হবে সেই দিকেই চোখ সকলের…………….
Leave a Reply