Chele

Focus

 

শিল্পীর জাদুতে এবারে ফিরে এলো মৃত ছেলে।

 

মৃত ছেলেকে ফিরে পেয়ে আবেগতাড়িত বাবা মা।

 

 

এক শিল্পীর হাত ধরেই পুনর্জন্ম আরেক শিল্পীর।

 

 

এই ঘটনা চোখে জল আনবে আপনারও!।

 

 

Body:- পৃথিবীতে সবথেকে বড় সম্পর্কের মধ্যে একটি হল বাবা মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক। তাই এই সম্পর্কে বিচ্ছেদও সবচেয়ে বেদনাদায়ক। আর এমনই একটি ঘটনা আজ আপনাদের বলব। যা শুনলে চোখে জল আসবে। আপনারও।

 

 

এই গল্প ঝাড়গ্রামের সংগীত শিল্পী স্বর্ণাব বাগচী ওরফে তাতানের। ছোটো থেকেই প্রতিভাবান এই শিল্পী। বানিয়েছেন একাধিক সংগীত। লিখেছে বই , কবিতা। কিন্তু উঠতি এই শিল্পীর জীবন হঠাৎই থেমে যায় এক মারণ ব্যাধির কারণে। হেপাটইটিস সি’তে আক্রান্ত হয় স্বর্ণাব। তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় না। চিকিৎসায় সাড়া দেয়নি সে। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে স্বর্ণাব ওরফে তাতান।

 

নিজেদের একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে যান পেশায় শিক্ষিকা মা সীতা পাল বাগচি ও পেশায় থিম শিক্ষক বাবা মানব বাগচী। তবে নিজেদের বাকি জীবন বাঁচার জন্য ছেলের স্মৃতিকেই আঁকড়ে ধরেন তারা। ছেলের সকল সৃষ্টিকে একত্রিত করেন একটি জায়গায়। অবিকল ছেলের মতন দেখতে একটি সিলিকনের মূর্তি বানান শিল্পীকে দিয়ে। আর এই মূর্তি দেখেই কার্যত চেনা দায় যেটি আসল না নকল তাতান। এ মূর্তি তৈরি করে বিরাটির সিলিকনের জাদুকর নামে খ্যাত সুবিমল দাস।

 

 

নিজের ছেলের এই মূর্তি দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন মা। বলেন ওকে নিয়েই আমরা গত কয়েক বছর ধরে রয়েছি। আমরা ছেড়ে যাই নি ওকে।

 

Byte :- ( 4:30-5:33)

 

এই সিলিকনের মূর্তির শিল্পী বলেন। এমন আবেগতাড়িত কাজ করতে পেরেও অমি আপ্লুত।

 

Byte:- (05:36-06:25)

 

 

এভাবেই এক শিল্পীর হাতে জীবন্ত হয়ে থাকবে আরেক শিল্পী। বাবা-মার খালি কোলে একটু হলেও ভরাট করবে এই মূর্তি। এজন্যই বলে শিল্পীর মৃত্যু হয় তবে শিল্পের নয়। এভাবেই বেঁচে থাকুক তাতান তার শিল্পের মধ্যে দিয়ে।।

 

 

End


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *