Baji

Focus

 

রাজ্য নাকি বাজির কারখানা।

 

 

আস্ত বারুদের স্তুপে দাড়িয়ে রয়েছে বাংলা।

 

 

সামনে বড় বিপদ।

 

 

 

পর পর পাঁচ বে – আইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ।

 

 

 

তাও হুশ ফিরল না প্রশাসনের।

 

 

 

কাজ হল না মুখ্যমন্ত্রীর ধমকেরও।

 

 

 

এক নজরে দেখে নিন সেই ভয়াবহ পাঁচ বিস্ফোরণের ঘটনা।

 

 

 

 

 

 

Body:- বর্তমানে যে বিস্ফোরণ নিয়ে উত্তাল রাজ্য – রাজনীতি। তা হল দত্তপুকুর বিস্ফোরণ। গতকাল ভয়াবহ শব্দে কেপে ওঠে এই দত্তপুকুর। জানা যাচ্ছে ,এই দত্তপুকুর বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে পুরো এলাকা। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে পাকা তিনটি বাড়ি।

 

 

এরপরেই আসে বজবজ। মাত্র কয়েকদিন আগের ঘটনা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই অঞ্চলেও হয় বাজি কারখানায় বিস্ফোরন। মৃত্যু হয় তিনজনের। চারপাশ পরিণত হয় ধ্বংসস্তূপে। এই মুহূর্তে সিআইডির একটি টিম সেখানে তদন্ত চালাচ্ছে।

 

 

এছাড়াও রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা। চলতি বছরেই ১৬ই মে পূর্ব মেদিনীপুরের এই এগরার খাদিকুল গ্রামে বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণ হয়। মৃত্যু হয় বাজি কারখানার ১২ জন কর্মীর। যদিও এরপরে তদন্ত শুরু হয় রাজ্যের তরফে। তবে খুব বেশিদিন চলেনি সেই তদন্ত। ঘটনা এতটা দূর পর্যন্ত যায়। যে ঘটনাস্থলে মুখ্যমন্ত্রী আসতে বাধ্য হন। ক্ষমাপ্রার্থনা করেন তিনি মানুষদের কাছে। বলেন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কিছুদিন পর আবার চুপচাপ হয়ে যায় সব।

 

তারপরেই রয়েছে মহেশতলা। দক্ষিণ 24 পরগনার এই অঞ্চলও কেঁপে ওঠে বিস্ফোরণে। স্থানীয়দের মতে গত ২০ মার্চ কার্যত এক মুহূর্তের জন্য সম্পূর্ণ জনবসতি কেপে ওঠে। মৃত্যু হয় তিনজনের। মৃতদের মধ্যে ছিলেন বাজি কারখানার মালিকের স্ত্রী, ছেলে এবং এক নাবালিকা।

 

পাঁচ বছরের অধিক পেরিয়ে গেলেও এখনও বিস্ফোরনের কথা বললেই মনে আসে পিংলার নাম। ২০১৫ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরে পিংলা থানার ব্রাহ্মণবাড় গ্রামের বিস্ফোরণ আজও ভয় ধরায় মনে। সেবার সেই অবৈধ বাজি কারখানার বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ১৩ জনের। সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক বিষয়টি ছিল মৃত ১৩ জনের মধ্যে ১০ জনই ছিল নাবালক শ্রমিক। এই ঘটনা তদন্তেও নামে সিআইডি। মোট ৩ জনকে করা হয় গ্রেফতার।

 

 

একটি করে বিস্ফোরণ ঘটে ও প্রশাসনের টনক নড়ে। কিন্তু কিছুদিন পরেই আবার সব চুপচাপ শান্ত। আবার ধীরে ধীরে বিস্তৃতি লাভ করে এই অবৈধ বাজি ব্যবসা। এভাবেই চলতে থাকে আর ঘটতে থাকে বিস্ফোরণ। যেমন এদিন ঘটেছিল দত্তপুকুরে। তবে এত কিছুর পরেও কবে যে প্রশাসনের ঘুম ভাঙবে তার উত্তর জানা নেই কারোর।

 

End


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *