*Focus*
বালুরঘাটে উল্টো খেলা!
পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে তৃনমূলকে ৫ গোল বিজেপির!
চার দশক পুরোনো পঞ্চায়েত হাতছাড়া।
প্রার্থী কিনতে না পারায় চটে লাল তৃণমূল।
Body: পঞ্চায়েত ভোট শেষ হবার পর থেকেই বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে প্রায় রোজই কিছু না কিছু খবর উঠে আসছে । কোথাও হানাহানি তো কোথাও আবার প্রার্থী কেনা -বেচা। কোথাও তৃনমূল গোল দিচ্ছে বিজেপিকে তো আবার কোথাও বিজেপি তৃণমূলকে। তবে বেশিরভাগ জায়গায় বাজি মারছে শাসক দল তৃনমূলই। কিন্তু দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা যেন একটু ব্যতিক্রমী। এখানে এই নিয়ে পাঁচটি পঞ্চায়েত সমিতির দখল নিয়েছে বিজেপি। যার মধ্যে কিছু আসন ছিল তৃণমুলের শক্ত জমি।
এই বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া পঞ্চায়েতও যেন তারই উদাহরণ। ২২ আসন বিশিষ্ট এই ভাটপাড়া পঞ্চায়েতে ১১টি করে আসন পেয়েছিল বিজেপি – তৃণমূল উভয় দলই। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় কোনও দলের পক্ষেই
সম্ভব ছিলনা বোর্ড গঠন। যার জন্যে জেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে দুই দলের জয়ী প্রার্থীদেরই আমন্ত্রণ জানানো হয় বোর্ড গঠনের দিন। সেই বোর্ড গঠনকে ঘিরে ছিল যথেষ্ট উত্তেজনা। এখানে উভয় দলের প্রার্থী ভোটাভুটিতে অংশ নেন। কিন্তু গোলযোগ বাধে তৃণমুলের এক প্রার্থীর ভোট নিয়ে। নির্দিষ্ট কারণের জন্যে বাতিল হয় তার ভোট। ফলে এক ভোট বেশি নিয়ে বাজি মারে বিজেপি। প্রধান হন বিজেপি জয়ী প্রার্থী নীলিমা বর্মন ও উপপ্রধান হন বিজেপি জয়ী প্রার্থী শিবু দরকার। পদ পেয়ে বেজায় খুশি দুই পদ প্রার্থী জানান, বহু বছর পর এবার ভাটপাড়া পঞ্চায়েতে পালা বদল হয়েছে।
Byte of Nilima Baraman ( 00:07-00:18) (red Sari)
&
Byte of Shibu Sarkar ( 01:08-01:22)
এই বোর্ড গঠনের পর থেকেই দেখা যায় বিজেপি কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস। গেরুয়া আবির মেখে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে আনন্দে মাতেন তারা।
Footages of Crowd
এই প্রসঙ্গে, জেলা বিজেপির সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী জানান। প্রশাসন অনেক চেষ্টা করেছিল যাতে বিজেপি এই অঞ্চলে ক্ষমতায় না আসে। কিন্তু শেষ মেষ মানুষের রায়কে মেনে নিতে বাধ্য হন তারা।
Byte of Swarup choudhury ( 00:08- 00:25) & ( 00:38- End)
দীর্ঘ চার দশক এই পঞ্চায়েতের হাওয়ায় শুধু সবুজ আবির উড়েছে। দুটো টার্ম কংগ্রেস এবং তার পর তৃণমূল। কিন্তু এবার সেই সবুজ আবিরের বদলেই ভাটপাড়া পঞ্চায়েতের হাওয়ায় উড়বে গেরুয়া আবির।।
End
Leave a Reply