Start with a Inspirational BGM
কথায় আছে যে লড়তে জানে তার কোনদিনও পরাজয় হয় না,
এ যেন এমনই এক হার না মানা যোদ্ধার গল্প
যে জীবন যুদ্ধে লড়ছিল তার সবচেয়ে কঠিন লড়াই।
Footages of Gayetri
কদিন আগেই আমরা খবর করি বছর ১৫ এর ছাত্রী টোটো চালক গায়েত্রী হালদারকে নিয়ে।
Footage or still picture of Shantunu Thakur / byte if possible
তারপরেই সেই খবর ভাইরাল হয় বহু মানুষের পাশাপাশি সেই খবর নজরে আসে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তুনু ঠাকুরের। আর তারপরই তিনি গায়ত্রীর বাড়িতে ছুটে যান কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। গায়েত্রীর পাশে থেকে তার বাবার চিকিৎসার দায়ভার নিলেন, শুধু তাই নয, দিদির পুলিশে চাকরির ইচ্ছা পূরণের জন্যও তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি নবম শ্রেণীর গায়ত্রী হালদারের পড়াশোনা ক্ষেত্রে কোন রকম যাতে সমস্যা না হয় সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আর তাতেই যেন ভাগ্য বদলালো অসহায় এই হালদার পরিবারের। আর তারপরই বারংবার সংবাদ মাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়েছে, গায়ত্রী সহ তার মা কৃষ্ণা হালদার।
সেই উত্তর ২৪ পরগণা জেলার অন্তর্গত গাঁইঘাটার গায়ত্রী হালদার, এক বছর পনেরোর মেয়ে, সকাল হলেই যে বেরিয়ে পড়ে টোটো নিয়ে, মাঝে কিছুটা সময় স্কুলে পড়াশোনা,তারপর আবারও বেরিয়ে পরা যাত্রীদের নিয়ে। এই গায়ত্রী ছিল সংসারের একমাত্র রোজগেড়ে তার কারন গত কয়েক বছর আগে সংসারের একমাত্র রোজগেড়ে সদস্য বাবা অলক হালদার শারীরিক অসুস্থতার কারণে শয্যাশায়ী হয়েছিলেন। সেই সময় থেকেই গায়ত্রীর এই টোটো চালানো শুরু। কোনরকম ছোট কুড়ে বাড়িতে অসুস্থ বাবা, মা ও দিদিকে নিয়ে চলছিল তার সংসার, শুধু সংসার নয় তার পাশাপাশি দিদির পুলিশ হবার স্বপ্নেও পাশে দাঁড়িয়েছিল সে। ছোট মেয়ের এই লড়াই দেখে তার পাসে এসে দাঁড়িয়েছে তার মা কৃষ্ণা হালাদার তিনিও শুরু করেন দুটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ।
Byte
আমাদের তথাকথিত ভদ্র সমাজের অনেক মানুষই একে কটাক্ষও করতে ছাড়েননি,অনেকেই হেসেছেন,মজা করেছেন কিন্তু কোন কিছুতেই হার মানেনি গায়েত্রী, চোয়াল শক্ত করে লড়ে গেছে লড়াইটা। তার লড়াই এর কাছে সকলকেই একটা সময় হার মানতে হয় ,এলাকার বহু মানুষ এই লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছে এখন টোটো স্ট্যান্ডের সকলেই সাহায্য করেন বছর ১৫ র এই মেয়েকে। মাঝে কিছুদিনের জন্য টোটো খারাপ হয়ে যাওয়াতে খোঁজ পড়ে যায় গায়েত্রীর তবে আবারও পাড়া প্রতিবেশীদেরও সাহায্য নিয়ে নতুন ব্যাটারি লাগিয়ে টোটো নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে কিছুদিনের মধ্যে। মেয়ের এই লড়াই দেখে চোখে জল শয্যাশায়ী বাবার, তার বক্তব্য মেয়ের এই লড়াই তাকে নতুন করে সাহস দিচ্ছে আবারও সুস্থ হয়ে ওঠার। বাবার চিকিৎসার খরচ থেকে শুরু করে দিদির পড়ার খরচ সবদিকেই নজর রয়েছে তার, সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছে নিজের পড়াশোনাও, তার বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারাও আজ তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাদের মতে ওর মতন এমন ছাত্রীর পাসে তারা সর্বদা আছে তারা চান গায়েত্রী যেন তার লেখাপড়া চালিয়ে যায়।
তবে শিক্ষিকাদের থেকে সহযোগিতা পেলেও নিজের সহপাঠীদের সহযোগিতা সম্পর্কে আক্ষেপের সুর তার গলায়, হয়ত টোটো চালায় বলেই তার সাথে বিশেষ কেউ কথা বলেনা, এড়িয়ে চলে যায় তাকে এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারেনি গায়েত্রী। তবে তার বিশ্বাস একদিন আর সবার মতন তার বন্ধুরাও আপন করে নেবে তাকে,পাশে দাঁড়াবে তার, বুঝবে তার কষ্ট,সংগ্রাম।
Crying scene footage
শান্তুনু ঠাকুরের থেকে সাহায্য পেয়ে অনেকটাই আশাবাদী গায়েত্রী, ইতিমধ্যেই আরওবহু সংগঠনের তরফ থেকেও গায়ত্রীকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
এভাবেই দীর্ঘজীবী হোক গায়েত্রী এবং তাদের সংগ্রাম, তারা অনুপ্রাণিত করতে থাকুক জীবন যুদ্ধে হেরে যাওয়া তার এই লড়াইকে কুর্নিশ জানায় বাংলা হান্ট ।।
Leave a Reply