জানেন চন্দ্রযান তিন এর সফলভাবে লান্ডিং এর পিছনে রয়েছে কার হাত ?
কার কষা অংকতেই পালকের মতো ল্যান্ডিং করতে পারলো বিক্রম ল্যান্ডার?
২০১৯ সালের ব্যর্থতাকে কাজে লাগিয়ে ২০২৩ সালে ইতিহাস গড়ল যুবক।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সে
বয়স মাত্র ২৩ !
কে সে?
কি তার নাম?
সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা চন্দ্রযান তিনের সাফল্যকে দেখেছি টিভির পর্দায় তবে টিভির পর্দায় আমরা যা দেখেছি তা 100 ভাগের ১০ ভাগ মাত্র । চন্দ্রযান তিন সাফল্যের পিছনে বাকি ৯০ শতাংশ যাদের হাত রয়েছে অর্থাৎ প্রস্তুতি বিভাগে যারা সময় দিয়েছেন তারা রয়েছে আমাদের অজানায় তবে আপনি জানলে অবাক হবেন চন্দ্রযান তিন সফলভাবে ল্যান্ডিংয়ের পিছনে যার হাত রয়েছে তার বয়স মাত্র ২৩ বছর আরও অবাক হবেন জানলে যখন জানতে পারবেন এই ছাত্র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা করেছেন । যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তনী সল্টলেকের একটি আন্তর্জাতিক টেক কনসাল্টেন্ট কোম্পানিতে বর্তমানে কর্মরত নির্নিমেষ ।
2;09-2;37
২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ মিশনের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ ছিল চন্দ্রপৃষ্ঠে ল্যান্ডিংয়ের সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া। এই ব্যর্থতা থেকেই ২০২০ সালে চন্দ্রযান-৩ অভিযানের যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করে ইসরো। সে বছরের এপ্রিল মাস নাগাদ ল্যান্ডার টেকনোলজি ডেভেলপমেন্টের আইডিয়া তৈরির জন্য ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার রেসপন্ড প্রজেক্টে অংশ নেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল এবং ইটিসি বিভাগের পড়ুয়া, অধ্যাপকের ৭ জনের একটি টিম। গোটা লকডাউন জুড়ে চলে চন্দ্রযান দিনের প্রস্তুতি সেই দলেই ছিলেন মেকানিক্যাল বিভাগের নির্নিমেষ।
Byte0;00+0;52
জানা গিয়েছে, অবতরণের আগে চন্দ্রযান থেকে চন্দ্রপৃষ্ঠের প্রতিমুহূর্তের ইমেজ সংগ্রহ করার প্রোটোটাইপ কাজের দায়িত্ব ছিল যাদবপুরের ইলেকট্রনিক্স বিভাগের উপর। প্রতি ৬ মাস পর এই বিষয়ে ইসরোর কাছে বিশ্ববিদ্যালয়কে রিপোর্ট জমা দিতে হয়েছে। অবশেষে ২০২১ সালের মার্চ মাসে এই প্রজেক্টকে প্রোটোটাইপ সিমুলেটিভ ভিডিও হিসাবে ইসরোর কাছে পেশ করা হয়।
নির্নিমেষের এই কৃতিত্বের কথা জানতেন না তাঁর পরিবারও। রবিবার রানাঘাটের কামারপাড়ায় বাড়ির সদস্যরা জানতে পারেন। বাবা অবসরপ্রাপ্ত আধা-সরকারি কর্মী নির্মল কুমার দে। মা টিঙ্কু দে গৃহবধূ। ছেলের কৃতিত্বে গর্বিত পরিবার।
0 ;1-0;49
Leave a Reply