Jnok

অঙ্গনওয়াড়ির খিচুড়িতে জোঁক!

আরশোলার সাপের পর এবার শিশুদের খাবারে জোঁক!

দিনের আলোতে জোঁক কোথা থেকে এলো অঙ্গনওয়াড়ি খিচুড়িতে?

ভয়ংকর কাণ্ড বীরভূমে !

প্রশ্ন উঠছে কেমন পরিবেশে রান্না হতো ?

রাধুনীরাই বা কতখানি স্বচ্ছতা বজায় রাখতো?

তবে কি দীর্ঘদিন ধরে এই খাবার খাওয়ানো হয়েছে শিশুদের ?

 

 

পুষ্টির অভাব মেটাতে অঙ্গনওয়াড়ি থেকে শুরু করে সরকারি স্কুলগুলিতে দেওয়া হয় খিচুড়ি অথবা মিড ডে মিলের (Mid day Meal) অন্যান্য খাবার। তবে এই সকল খাবারে কখনো মিলছে টিকটিকি, তো আবার কখনো মিলছে সাপ। এছাড়াও হামেশাই বিভিন্ন জায়গা থেকে শোনা যায় চালে পোকা থেকে শুরু করে নানান অভিযোগ। তবে এই সকল অভিযোগের মাঝেই শুক্রবার বীরভূমে এমন এক ঘটনা ঘটে গেল যা রীতিমতো ভয়ংকর। এবার অঙ্গনওয়াড়ির খিচুড়িতে মিলল জোঁক।

 

অঙ্গনওয়াড়ির খিচুড়িতে জোঁক মেলার ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত দাদপুর উত্তর অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে। যেখানকার এক শিশুর অভিভাবক শুক্রবার সকালবেলায় খিচুড়ি নিয়ে বাড়ি যান। সেই খিচুড়ি তার শিশুকে খাওয়ানোর সময় দেখতে পান পাত্রে রয়েছে একটি জোঁক। এই ঘটনার পর ওই অভিভাবক দাবি করেন, তার শিশু বমি করা শুরু করে।

 

ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন সকাল থেকেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায়। এলাকার অন্যান্য বাসিন্দারাও এসে উপস্থিত হন। যাদের মধ্য থেকে অভিযোগ করা হয়, নূন্যমানের খাবার থেকে শুরু করে নানান সমস্যার বিষয়ে। অন্যদিকে ওই শিশুর অভিভাবক দাবি করেন, এখানে যে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার রয়েছে সেখানে রান্না না করে দায়িত্বে থাকা রাঁধুনী বাড়ি থেকে রান্না করে আনেন।

 

অভিযোগকারী অভিভাবক খায়রুল হাসান দাবি করেছেন, পুঁই শাক দিয়ে এদিন খিচুড়ি রান্না করা হয়েছিল। কিন্তু খিচুড়ির মধ্যে যে জোঁক ছিল সেটা তো দেখতে হবে যিনি রান্না করছেন তাকে। এর পাশাপাশি তিনি জানান, ভাত কোনদিন রান্না করা হয় না। প্রায় সব দিনই খিচুড়ি রান্না করে খাইয়ে দেওয়া হয়। আর এই জোঁকের ঘটনায় কি পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়িয়েছে তা বুঝতেই পারা যাচ্ছে।

 

অন্যদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ওই অঙ্গনওয়াড়ী সেন্টারে ছুটে আসেন চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট অফিসার সায়ন্তন মান্না। তিনি সবকিছু খতিয়ে দেখেন। তবে এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *