Babul

তৃণমূলে যোগদানের পরেও কি দলের এলার্জি বাবুল

মমতার ঘরের বাইরেই তাল কাটলো বাবুল এবং ইন্দ্রনীলের

হঠাৎই জনসমক্ষে শুরু হল বাক বিতোন্ডা ,

ভিন্ন ভিন্ন দপ্তর হওয়া সত্ত্বেও

কি নিয়ে ঝামেলা?

বেশ খানিকক্ষণ ধরেই চলল ইন্দ্রনীল সেন বনাম বাবুল সুপ্রিয়

অবশেষে জানা গেল ঝামেলার কারণ

 

 

 

 

 

বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) উপহার স্বরূপ পেয়েছেন পর্যটন ও তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের মন্ত্রিত্ব। তবে তার এইভাবে উত্থান নিয়ে অনেকের মধ্যেই তৈরি করেছে কিন্তু কিন্তু। এই নিয়ে একাধিকবার নানান প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি এবার রীতিমত তাল কাটলো শাসকদলের দুই গায়ক মন্ত্রীর। তাল কেটেছে বাবুল সুপ্রিয় এবং ইন্দ্রনীল সেন (Indranil Sen) মধ্যে।

বিনোদন জগতে দুজনের পরিচিতি থাকার পাশাপাশি রাজনীতির ময়দানে তারা এখন একই দলের সদস্য তারপরেও হঠাৎ এই বচসার কারণ কি ?জানা গেল আসল তথ্য

 

 

সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বিধানসভার করিডরের মধ্যেই এই দুই মন্ত্রী নিজেদের মধ্যে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এমনকি সাংবাদিকদের সামনেই দুই মন্ত্রী একে অপরের বিরুদ্ধে গলা চড়ান। সোমবার বিধানসভার অধিবেশন শেষ হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকা হয়। সেই বৈঠক শেষে যখন বিধানসভা চত্বর ফাঁকা হওয়ার মুখে তখনই এই দুই মন্ত্রী মুখোমুখি হলে তাল কেটে যায়।

 

পর্যটন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের দপ্তর আলাদা হলেও বাবুল সুপ্রিয় দপ্তরের অধীনে থাকা পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের চেয়ারপারসন হিসাবে রয়েছেন ইন্দ্রনীল সেন। এদিন বাবুল সুপ্রিয় ইন্দ্রনীল সেনকে সামনে পেয়ে সরাসরি অভিযোগ করেন, পর্যটন দপ্তরের কাজে বাধা সৃষ্টি করছেন ইন্দ্রনীল সেন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে দুজনের শুরু হয় বাকবিতণ্ডা।

 

বাবুল সুপ্রিয় ইন্দ্রনীল সেনকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি কেন কাজ আটকে দিচ্ছ?’ এর জবাবে শান্ত এবং দৃঢ় স্বরে ইন্দ্রনীল সেন কে বলতে শোনা যায়, ‘যা বলার দিদিকে গিয়ে বল’। দুজন মন্ত্রীর এমন মেজাজে রীতিমতো হকচকিয়ে যান সেখানে উপস্থিত নিরাপত্তারক্ষীরা থেকে ঘনিষ্ঠজনেরা। তবে দুজনের মধ্যে এই দুই কথাতেই শেষ হয়নি। এরপরেও একে অপরকে নানান প্রশ্ন উত্তর ছুঁড়তে দেখা যায়।

 

দিদিকে বলার যে পরামর্শ ইন্দ্রনীল সেন দিয়েছেন সেই জবাব শুনেই রীতিমত চড়া সুরে বাবুল সুপ্রিয় বলে ওঠেন, “হ্যাঁ সে তো আমি বলছিই গিয়ে। দরকার মনে হয় আবার বলব। কিন্তু তুমি এভাবে আমার দফতরের কাজ আটকাতে পার না।” এরপর ফের ইন্দ্রনীল সেন বলেন, “তুই এখানে এ ভাবে কথা বলিস না। বললাম তো, তোর যা বলার আছে বা কিছু বলার থাকলে সেটা সোজা দিদিকে গিয়ে বল। তোর দফতরের কাজ আমি কেন আটকাতে যাব!” এসবের পর অবশেষে তারা নিজেদের গন্তব্যে হাঁটতে শুরু করেন। যদিও এমন ঘটনা নিয়ে কেউই সাংবাদিকদের কোন প্রতিক্রিয়া দেননি।ষ

অন্যদিকে দিদিকে সত্যিই ক্ষোভের কথা বলা সম্ভব হলো কিনা তা জানা যায়নি এখনো তবে দলের অভ্যন্তরে দুই শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে এমন ব্যবহার সর্বসম্মুখে কার্যত বিপদে ফেলেছে তৃণমূলকে


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *