কৌশিকী অমাবস্যার আগেই বদলে যেতে চলেছে তারাপীঠ।
দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখে বড় পদক্ষেপ প্রশাসনের।
মায়ের দর্শন পেতে আর পোহাতে হবে না ঝক্কি।
গাদা গাদা টাকা চড়াতে হবে না, হোটেল কর্তৃপক্ষের পায়।
তারাপীঠ গিয়ে মায়ের দর্শন পাওয়া হবে আরও সহজ।
সামনে কৌশিকী অমাবস্যা, মা তারার ভক্তদের কাছে এক উৎসবের সময়। এ বছর সেপ্টেম্বর মাসের ১৪ তারিখ কৌশিকী অমাবস্যা পড়েছে পঞ্জিকা মতে । যথারীতি সেই সময় মা তারার দর্শন পাওয়ার জন্য প্রায় সপ্তাহখানেক আগে থেকেই হোটেলে চলে বুকিং। কৌশিকী অমাবস্যা চলাকালীন তারাপীঠের হোটেলগুলি হয়ে ওঠে যেন ব্যবসা ক্ষেত্র । দূর দুরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে এই সময়ে মা তারার দর্শন পেতে । এবছর আবার মা তারা গর্ভগৃহ নতুন রূপে সেজে উঠেছে ,যথারীতি অন্যান্য বছরে তুলনায় যে এ বছর ভিড় আরো বেশি হবে তা বলাই বাহুল্য । যথারীতি এবছরও হোটেল ব্যবসায়ীদের কাছে সুবর্ণ সুযোগ থাকবে লক্ষী লাভের।
তবে প্রত্যেক বছরই হোটেলের মাত্রাতিরিক্ত ভাড়ার জন্য অনেকেই ইচ্ছা থাকলেও এই সময়টা তারাপীঠ এড়িয়ে যান। গত বছর মাত্রাঅতিরিক্ত হোটেল ভাড়ার ফলেই দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল ৭০ থেকে ৮০ হাজার, এক কথায় মুখ থুবড়ে পড়ে ছিল ব্যাবসা।।
তবে গত বছরের ঘটনা পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেই কথা মাথায় রেখে আজ রামপুরহাট মহকুমা শাসক দপ্তর এর অফিসে তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং অন্যান্য সরকারি অধিকারী, জেলাশাসক সকলকে নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠক উপস্থিত ছিলেন তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি, তারাপীঠ হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি অন্যান্য লোকজনেরা।। কৌশিকী অমাবস্যা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা পর্ব চলে বৈঠকে।। বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এ বছর যাতে তারাপীঠে হোটেল গুলির ভাড়া থাকে সাধ্যের মধ্যে। যাতে সকল শ্রেণীর মানুষ মা তারার দর্শন পেতে পারেন সুষ্ঠুভাবে।
6;07-6;49sada
কথায় আছে এই সময় মা তারার কাছে যা চাওয়া হয় তাই পাওয়া যায় । তাই মা তারার দর্শন আরো ভালোভাবে পেতে পারেন যাতে সবাই ,সেদিকেই এবার বিশেষ করে নজর দিয়েছে তারাপীঠের হোটেলে এসোসিয়েশন।
Leave a Reply