Upacharya

বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই

উপাচার্যের সই না থাকায় পাওয়া চাকরি হারালো যুবক

পরীক্ষায় দেশে প্রথম স্থান অধিকার করলেও

তীরে এসে তরী ডুবল যুবকের

সরকারি পরীক্ষা দিয়েও বেকারত্বের শিকার সে

অবশেষে রাজ্যপালের দ্বারস্থ চুঁচুড়ার সায়ন

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামগত গাফিলতির জন্য চাকরি পেয়েও বেকারত্বের শিকার চুঁচুড়ার সায়ন । স্বপ্ন ছিল কেন্দ্রীয় সরকারেরৎডিআরডিও তে টেকনিক্যাল ফটোগ্রাফার টেকনিশিয়ান হিসেবে চাকরি করবেন তিনি। সেই অনুযায়ী পরীক্ষাও দিয়েছিলেন ডিফেন্স রিসার্চ এন্ড ডেভালপমেন্টে, স্বপ্ন পূরণের যখন বাকি মাত্র আর এক ধাপ। তার আগেই সমস্ত দুনিয়া থমকে গেল সায়নের। পাওয়ার চাকরি বেরিয়ে গেল হাতের নাগালের থেকে।

2:07-2:26

 

চুঁচুড়া দক্ষিণায়নের বাসিন্দা সায়ন কর্মকার কেন্দ্র সরকারের ডিফেন্স রিসার্চ এন্ড ডেভালপমেন্ট(ডিআরডিও) এ পরীক্ষা দিয়ে মেধাতালিকায় এক নম্বরে জায়গা করে নেন।ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশান করে চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন বলে চিঠি পাঠায় ডিআরডিও।সেখানেই আটকে যায় সায়নের চাকরি পাওয়া।

জানা যায় চন্দননগর কানাইলাল স্কুল থেকে বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে বি টেক করেন।এরপর রাজারহাটের ডিরোজিও মেমোরিয়াল কলেজ থেকে ফটোগ্রাফি এন্ড ভিডিও প্রোডাকশন নিয়ে ডিপ্লোমা করেন ২০১৭-১৮ সালে।।চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে ডিআরডিও তে টেকনিক্যাল ফটোগ্রাফার টেকনিশিয়ান পদের জন্য পরীক্ষায় বসেন।লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেন।এপ্রিল মাসের ৩ তারিখে মহারাষ্ট্রের পুনেতে রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্সে গিয়ে মৌখিক পরীক্ষা দেন।৭ মে রেজাল্ট বেরোয়। দেখেন প্রথম স্থান অধিকার করেছে সে।১২ মে ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশানের চিঠি আসে। কথা ছিল বিশ্ববিদ্যালয় তরফ থেকে সেই ডকুমেন্ট নিয়ে গেলেই মিলবে চাকরি।

তবে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটিতে একাধিকবার যাতায়াত করেও মেলেনি ডিপ্লোমার শংসাপত্র।তার চাকরি আটকে আছে বলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাডে হাতে লিখে একটি শংসাপত্র দেওয়া হয়।ডিআরডিও তা গ্রহন করেনি।পরে আবার একটি ছাপা শংসাপত্র দেওয়া হয় যেখানে উপাচার্যের কোনো সই নেই।তাই সেই শংসাপত্র গ্রহণ করেনি ডিআরডিও। এরপর চলেছে হাজারো দৌড়াদৌড়ি হাজারো ফোন কল তবে হয়নি কোন সুরাহা, পাওয়া চাকরি কি আর বসে থাকবে! প্রতি মুহূর্তেই যেন আশঙ্কায় কাটছে সায়নের

Byte

0;42-1:42

 

ছেলের পাওয়ার চাকরি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে এ যেন কিছুতেই কল্পনা করতে পারছে না সায়নের মা দীপা কর্মকার ।তবে সে জানে তার ছেলে শুধু একাই নয় তার ছেলের মতো আরও একাধিক ছেলেরা রয়েছে যারা এই উপাচার্যের সই না থাকার ফলেই আজও বেকার.।

 

Byte 0;00-0;26 maaa

 

তবে আর কতদিন! কতদিন এভাবে থাকবে সে ! অবশেষে নিরুপায় হয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দ্বারস্থ হয় সায়ন । তাকে জানায় সমস্ত বিষয় । এখন সায়ন এবং তার পরিবারের কাছে তিনি একমাত্র ভরসা।

 

 

 


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *