যাদবপুরের মৃত ছাত্রের বাড়িতে গিয়ে বিস্ফোরক রাজন্যা
সিসিটিভিতে কিসের এত অনীহা!
কেন সিসিটিভি লাগাতে গেলেই ঝাল লাগছে বামেদের!
বামেদের নৃশংস বলে সম্বোধন
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের রহস্য মৃত্যুর পর থেকেই ক্রমশ বেড়েছে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। ঘটনায় বিজেপি যুব মোর্চা থেকে শুরু করে বাম সংগঠন গুলি এবং সর্বোপরি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ প্রত্যেকেই সক্রিয়ভাবে এই ঘটনার প্রতিবাদে নেমেছে। তবে শুরু থেকেই তৃণমূল বিজেপির উদ্দেশ্য ছিল স্পষ্ট । শুরু থেকেই তাদের অভিযোগ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেগিং কালচারকে পুরোপুরি সমর্থন করছে বাম সংগঠনগুলো এবং তার জন্য দায়ী বামেরাই।
নদীয়ার রানাঘাটে মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসে বামেদের একই কারণ নিয়ে আক্রমণ করলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেত্রী রাজন্যা হালদার। এদিন তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি ত্রিনাঙ্কুর ভট্টাচার্য সহ চার প্রতিনিধিদল দেখা করতে আসেন। দীর্ঘক্ষণ তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজন্যা হালদার। প্রথমে ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে সমবেদনা প্রকাশ করেন। এরপরই তিনি পুরো দায়ভার বাম সমর্থিত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে তুলে ধরেন। তিনি বলেন বাম ও অতি বাম সমর্থকরা এত নৃশংস হতে পারে সেটা আমরা জানতাম না। তার মতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যে যে অরাজকতা চলছে, তা যাতে সামনে না আসতে পারে তাই বামেদের সিসিটিভি লাগানো তে এত অনিহা। প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে রাজন্যা জানিয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে আদেশ দিয়েছেন। সেই আদেশ মেনেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ফেরাতে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বামসমর্থিত সংগঠনগুলির তরফ থেকে শুরু থেকেই দফায় দফায় বচসা বাধে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে। তাদের দাবি তৃণমূল বহিরাগত । মূলত এই নিয়ে যখন রাজনৈতিক জল ঘোলা চলছে, তখন সব থেকে বেশি যা বিতর্কের বিষয় হয়েছে তা হলো সিসিটিভি লাগানো নিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের অনীহা । এখন দেখার বিষয় যখন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য সিসিটিভি লাগানোর পক্ষে তখন শেষমেষ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এই দাবি মঞ্জুর হয় কিনা।।
Leave a Reply