হাসের ডিম থেকে শুরু করে দেশি রুই।
পাঠা থেকে শুরু করে কবুতর
মা মনসা কে সন্তুষ্ট করতে হলে তার চরণে অর্পণ করতে হয় আমিষ খাদ্য
1;31-1:44 purohit
৫১৪ বছর ধরে মাস মনসা তুষ্ট হচ্ছেন এই খাদ্যে
মনসা পূজো ঘিরে এমন সব ইতিহাস
যা জানলে অবাক হয়ে যাবেন
দীর্ঘ ৫০০ বছরের পুজো। ৫০০ বছর ধরে এই রাজবাড়ী বহন করে নিয়ে আসছে ইতিহাস। প্রত্যেক বছর এই সময় রাজবাড়ি সেজে ওঠে নিজ ছন্দে, মা আসেন ঘরে। মা মনসা আসেন ঘরে । তাকে সাজিয়ে তুলতে কোমর বেঁধে লেগে পড়েন রাজ পরিবারের সদস্যরা । এলাহী আয়োজন হয় মা মনসার জন্য। এক আধটা নয় রীতি মেনে আটটি বিশেষ রূপে পূজা করা হয় মা মনসা কে এ বাড়ীতে। মা মনসা পূজিত হন দেবী দুর্গার ন্যয়।
বৈকুণ্ঠপুর এই রাজবাড়ির মনসা পুজোর ইতিহাস সুপ্রাচীনবৈকুন্ঠপুর রাজ পরিবারের দুই প্রতিষ্ঠাতা বিশ্ব সিংহ ও শিষ্য সিংহ ১৫১০ খৃষ্টাব্দে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। এখন এই পুজোর আয়োজন করেন রাজ পরিবারের বর্তমান সদস্যপ্রণতকুমার বসু ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
0;10-0;50 mohila
১৮ আগস্ট শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এই মনসা পুজো চলে ২০ আগস্ট পর্যন্ত। যদিও মনসা মেলা চলে পাঁচদিন ধরে।পুজোর সূচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বৈকুন্ঠপুর রাজ পরিবারের সদস্য প্রণতকুমার বসু, লিন্ডা বসু সহ অন্যান্য সদস্যরা। রাজবাড়ির এই পুজোয় মনসা দেবী আটটি বিশেষ রূপে পুজিত হন। রাজ পরিবারের প্রাচীন রীতি মেনে মূলত আমিষ পদ দিয়েই পুজোর ভোগ দেওয়া হয় এখানে। এই পুজো উপলক্ষে বিষহরির মনসামঙ্গল পালাগান শোনার জন্য দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন।
এছাড়া পূজোর আয়োজনেও রয়েছে ভিন্ন স্বাদ, রাজবাড়ি মনসা পুজোয় মাকে ভোগ দেওয়া হয় আমিষ।
বর্তমানে পুজোর প্রথম দিনেই বলি দেওয়া হয় পাঁঠা, আখ, হাঁস অথবা কবুতর ।
0;52-1;31 purohit
পুজোকে ঘিরে আজও বসে মেলা এখনও মেলা বসে। রাজবাড়ির মনসাপুজো আর মেলা আজও যেন ফুটিয়ে তোলে জলপাইগুড়ির প্রাচীণ ঐতিহ্যকে।
Leave a Reply