বদলে যাচ্ছে যাদবপুরের ভোল ।
যাদবপুরে প্রবেশ করতে গেলে মানতে হবে একাধিক নিয়ম ।
প্রবেশের পর থেকে বেরোনো পর্যন্ত প্রত্যেক মুহূর্তে আপনার উপর চলবে নজরদারি।
প্রবেশ করতে গেলেই লাগবে অনুমতি।
কড়া থেকে আরও কড়া যাদবপুর কর্তৃপক্ষ
জানুন জারি হল নতুন নির্দেশিকা
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, গোটা ভারতবর্ষে প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে অন্যতম এই বিশ্ববিদ্যালয়। যাদবপুর পরিচিত তাদের ঐতিহ্য,তাদের কৃতি ছাত্র- ছাত্রীদের রেকর্ড তৈরীর জন্য। তবে বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েই শুরু হয়েছে তোলপাড় । রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
৯ ই আগস্ট বাংলা বিভাগের ছাত্র রহস্য মৃত্যুর পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর উপর প্রশ্ন তুলেছে সাধারণ মানুষ সর্বোপরি প্রশাসন ।
সারা বছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চলে বহিরাগতদের অবাধ বিচরণ থেকে শুরু করে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে মাদক সেবন ,ইতিমধ্যেই তা প্রকাশ্যে এসছে । এখানেই শেষ নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলের অভ্যন্তরে প্রাক্তনীদের দিনের পর দিন বসবাস সমালোচকদের ভাষায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কে হোটেল রুমে পরিনত করেছে।
এমনই একাধিক তত্ব যখন তৈরি হচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কে নিয়ে, ঠিক সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার এর দ্বারা জারি করা হলো একাধিক নির্দেশিকা।
নতুন এই নির্দেশিকা না মানলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে প্রবেশ করা কার্যত না মুমকিন।
জানুন সেই নির্দেশিকা
যাদবপুরের প্রথম এবং সবথেকে বড় যে সমস্যা ছিল তা হল বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ এবার এই বহিরাগতদের অনুপ্রবেশে আনা হল নিয়ন্ত্রণ। জানা যাচ্ছে রাত আটটা থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ঢুকতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটেই দেখাতে হবে পরিচয় পত্র। সেই পরিচয় পত্র না থাকলে কোন মতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ঢুকতে পারবে না বহিরাগত কোন ব্যক্তি থেকে ছাত্র-ছাত্রী ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, সমালোচকদের কথায় যা ইতিমধ্যেই নাকি পরিণত হয়েছে মদ গাঁজার ঘাঁটি হিসেবে, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এবার আর কোনরকম মাদক নয় এমনটাই নির্দেশিকা জারি করেছে রেজিস্টার।
এমনকি কোন ছাত্রছাত্রী মাদকসহ ধরা পড়লে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বহিরাগতদের প্রবেশের লাগাম টানতে বাইক এবং চার চাকার সামনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় স্টিকার না থাকলে ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিল রেজিস্টার।
এছাড়াও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ঢোকা এবং বেরোনোর সময় রেজিস্টার মেনটেন করা নির্দেশ দেয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।
অন্যদিকে অবশেষে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সিসিটিভি লাগানো নিয়ে বড় নির্দেশ দেয়া হলো রেজিস্টারের তরফ থেকে । বিশ্ববিদ্যালয়ের আনাচে কানাচে লাগাতে হবে সিসিটিভি, যার মাধ্যমে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশের হিসেব এবং রেকর্ড থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে।
এমন ই একাধিক নির্দেশিকা জারি হওয়ার পরই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে এই নির্দেশিকা জারি হতে এত সময় লাগালো কেন? বহুদিন থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে একাধিক অসামাজিক কাজের অভিযোগ তোলা হয়েছিল তারপরও কেন নেয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ? তবে এই নিয়ে যখন রাজনৈতিক চাপানোতর চলছে তখনই বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা গৃহীত এই একাধিক পদক্ষেপ খানিক ওলেও লাগাম টানতে পারবে বলে আন্দাজ করা যায়।
Leave a Reply