১৫ ই আগস্ট নয়, শান্তিপুর ভাগিরথি পাড়ের মৎস্যজীবীরা আজ আঠারো তারিখেই স্বাধীনতা দিবস উৎসব আকারে পালনের রীতি বহুদিনের*
১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট ভারত স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু এখানকার মানুষজন ১৫ই আগষ্ট স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করতে পারেন নি। তার আগে কোন কোন এলাকা ভারতের মধ্যে যাবে তা ঠিক হয়। দেখা যায় শাস্তিপুর, নবদ্বীপ সহ নদিয়ার একটা বড় অংশ পাকিস্তানের মধ্যে চলে যায়। এই সিদ্ধান্তে চিন্তিত হয়ে পড়েন এই এলাকার মানুষজন। তৎকালীন সাংসদ পণ্ডিত লক্ষ্মীকান্ত মৈত্র পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর সঙ্গে দেখা করে নদিয়ার এই অংশ পাকিস্তানের মধ্যে চলে যাওয়ার বিরোধীতা করেন। তিনি পণ্ডিত মৈত্রকে বোঝান যে নদিয়ার এই অংশে বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের বসবাস বেশি। শ্রীচৈতন্যদেবের জন্মস্থান ও বৈষ্ণব চূড়ামণি শ্রীঅদ্বৈতাচার্যর সাধনক্ষেত্র নবদ্বীপ ও শান্তিপুর। পাকিস্তানে চলে গেলে একটি বৃহৎ অংশের মানুষ ও জনজাতির অস্তিত্ব সংকটে পরার সম্ভাবনা। পণ্ডিত মৈত্রর সঙ্গে আরও কয়েকজন নেহেরুজীকে বিষয়টি বোঝান এবং অবিলম্বে সমাধানের অনুরোধ জানান। শেষে মূলত জওহরলাল নেহেরুর প্রচেষ্টায় ১৭ই আগষ্ট রাত্রে ঘোষণা হয় শাস্তিপুর সহ নদিয়ার এই অংশ ভারত ভূখণ্ডের মধ্যে থাকবে। সেই রাতেই নদিয়ার এই অংশ জুড়ের শুরু হয় উৎসব। পরদিন ১৮ই আগষ্ট শান্তিপুরে স্বাধীনতার জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয়। কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। শোভাযাত্রাসহ প্রভাতফেরী হয়। কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা সেই জাতীয় পতাকাটি এখনও শান্তিপুর পাবলিক লাইব্রেরীর দ্বিতলে সংগ্রহশালায় রক্ষিত আছে।
। তবে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা হয়, দূর্গা পূজার পরে।
আজ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেলঘড়িয়া দু নং নম্বর পঞ্চায়েতের নবনিযুক্ত প্রধান বর্ণালী বর্মন সহ বেশ কিছু পঞ্চায়েত সদস্য। বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী আজ শান্তিপুরে না থাকার কারণে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি তবে তার পিতা ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রশান্ত গোস্বামী উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply