ভুয়ো চিকিৎসকের হাতে মৃত্যু হল পৌঢ়ের
১৫ বছর ধরে ভুয়া চিকিৎসা করছেন এই চিকিৎসক।
বাড়ির নিচেই ওষুধের দোকান।
ভালোই ব্যবসা ক্ষেত্র চলছিল দশক ধরে।
বৃদ্ধের মৃত্যুর পরে প্রকাশ্যে এলো সমস্ত
ও ডাক্তার। ডাক্তার মানে সে তো ভগবান। ঈশ্বরের পর মানুষ যার উপর বিশ্বাস রাখে সেই হলো ডাক্তার। তবে সেই ডাক্তারই যদি হয় ভুয়ো তাহলে মানুষ বিশ্বাস করবে কাকে। ভাবতে পারছেন দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চিকিৎসকের পরিচয় রয়েছেন নন্দগোপাল রায়। পাঁচতলা বাড়ির নিচে তৈরি করেছেন ওষুধের দোকান । বাড়িতেই রয়েছে স্যালাইন থেকে শুরু করে সমস্ত ব্যবস্থা। ১৫ বছর ধরে বানারহাট এর শালবাড়ি এক নং গ্রাম পঞ্চায়েতের শতাধিক মানুষ তার কাছে ছুটে যায় অসুখ-বিসুখে। সে ডাক্তারের নেই নাকি কোন কাগজপত্র। সে ডাক্তার আদতে নয় কোন ডাক্তার ,তার হাতেই এবার মৃত্যু হল ৬৫ বছরের দোমাসু রায় ( ৬৫)।
0;04-0:42 lal jama
শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে তিনি চিকিৎসা করাতে যান বলেন খবর। এরপর তাকে ইনজেকশন ও স্যালাইন দেওয়া হলে সমস্যা আরো বেড়ে যায় বলেই স্থানীয়দের দাবি। তারপর তড়িঘড়ি করে তাকে বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
0;00-0;30 doc
এই বৃদ্ধের মৃত্যুর পরেই কার্যত চিকিৎসক নন্দগোপাল রায়ের উপর ক্ষেপে যায় এলাকার মানুষজন তারা আবাসন ঘিরে বিক্ষোভ জাগাতে শুরু করে গ্রামের বাসিন্দারা পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানে উপস্থিত হয় পুলিশ প্রশাসন। তারপর নন্দগোপাল বাবুর লাইসেন্স পাওয়া হলেই জানা যায় ডাক্তার হওয়ার মতো কোনো বৈধ নথি নেই তার কাছে। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসকের কোন কাগজপত্র ছাড়াই চিকিৎসা করছেন তিনি।
Byte:2:58-3:15
যথারীতি ভূয়ো চিকিৎসকের পরিচয় দীর্ঘদিন মানুষ ঠকানোর জন্যই থানার পুলিশ গ্রেফতার করে তাকে । থানার আইসি শান্তনু সরকারের দাবি রবিন মৃত্যুর কারণে নয়, কোনরকম অভিজ্ঞতা ছাড়াই চিকিৎসা করার দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নন্দগোপাল কে ।আজ জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হবে।
Leave a Reply