Shiv

শিবের নাম নিয়ে চলছে মদের ঠেক।

কাঁধে বাঁক, মুখে ভোলে বাবা পার কারেগা,

আর ক্লান্ত হলেই গলায় ঢেলে নিচ্ছেন কখনো বিদেশী কখনো বাংলা।

0;14-0;18 holud

শিবের চরম ভক্ত তারা।

তাই বাদ পড়ছে না গাঁজাও।

শ্রাবণ মাস বলেই কি নেই কোন বাধা?

নেই কোন পুলিশি হস্তক্ষেপ ?

0;29-0;38 mota

খোলা রাস্তা তেই চলছে মদের আসর

আর শিবের নামে উঠছে স্লোগান।

 

 

চলছে শ্রাবণ মাস। শিব ভক্তদের কাছে এই শ্রাবণ মাসের রয়েছে আলাদা মাহাত্ম্য। এই শ্রাবণ মাসের প্রতিটি সোমবারই শিব ভক্তদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গোটা শ্রাবণ মাস জুড়ে প্রতি সোমবারেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিব ভক্তদের দেখা যায় কাঁধে বাঁক নিয়ে তারকেশ্বর, বৈদ্যবাটি যেতে । বৈদ্যবাটি নিমাই তীর্থ ঘাট ও শেওড়াফুলি গঙ্গার ঘাট থেকে জল নিয়ে বাঁক কাঁধে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে শৈবতীর্থ তারকেশ্বরে যান পুণ্যার্থীরা।

Byte 0;00-0;13 mahakal

 

কালক্রমে এই শিবভক্তদের ভিড়ে বৈদ্যবাটি তারকেশ্বর রাস্তা দিয়ে ,শনিবার ,রবিবার , সোমবার চলাচল করা কার্যত দুসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় সাধারণ মানুষের পক্ষে। জেলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন পুণ্যার্থীরা। খালি পায় কাঁধে বাঁক নিয়ে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার হেঁটে চলেন তারা। তার মাঝেই রাস্তাতেই খানিক বিশ্রাম নিতে দেখা যায় তাদের। আর সেই বিশ্রাম ঘাঁটিতেই চলে মদের আসর। চলে অধিকাংশ যুবকদের গাঁজা , বিড়ির আসর। প্রকটভাবে বৈদ্যবাটি এবং শেওড়াফুলিতেই চোখে পরে এই দৃশ্য।

Byte 0;13-0;25 komola

 

 

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে বৈদ্যবাটি ও শেওড়াফুলি জুড়ে রয়েছে তিনটি মদের দোকান। তাদের মধ্যে বৈদ্যবাটিতে থাকা দুটি মদের দোকানে বিক্রি হয় বেশি। আর সেই দোকানগুলিতেই ভিড় জমান সুরা প্রেমীরা। বছরের এই সময়টাতে এই মদের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায় শুধুমাত্র শিব ভক্তদের জন্যই ।প্রায় সারা রাত্তির খোলা থাকে মদের দোকান। আর সারারাতির কেনাবেচা হয় সূরা। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন রকম মদ বিক্রি হয় দোকানে। আর তার পাশেই চলে গাঁজা, তার জন্য নির্দিষ্ট করে একটি রয়েছে বিশেষ বাক্স । সেখানেই পাওয়া যায় , গাঁজা কাটার ছুরি থেকে ছিলিম সহ যাবতীয় সরঞ্জাম। রীতিমতো জমিয়ে বসে মদ গাজার, ।

0;00-0;27 lal

 

শ্রাবণ মাসের এই কয়েকদিন একদিকে যেমন বিশাল লাভের মুখ দেখে মদের দোকানগুলি ,ঠিক তেমনি সেই ভক্তদের কাছে এই সময় হলো ভরপুর আনন্দে মেতে থাকার সময়। আশ্চর্যের বিষয় বছরের এই সময় রাস্তাঘাটে গাঁজা মদের আসর বসলেও বাধা দেওয়ার নেই কেউই। পুলিশের সামনেই চলে দেদার সুরা পান। ভরপুর আনন্দে মেতে ওঠে যুবকরা , চলতে থাকে পা ,খানিক বিশ্রাম নিয়ে তারা বলে চলে ভোলে বাবা পার করেগা।

 


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *