ধর্ম যার যার মহাদেব সবার
মুসলিম হয়েও কাঁধে বাঁক নিয়ে তারকেশ্বর যাচ্ছে এই দল।
কেউ রাজমিস্ত্রি তো কেউ সেলসম্যান
শ্রাবণ মাসের এই সময় তাদের একটাই পরিচয়
-তারা বাবার ভক্ত
ধর্ম ভুলে হিন্দুদের মতনই কাঁধে বাঁক নিয়ে দৌড়ালো শেখ সারা ফুল
0;04-0;12
জাতি ধর্ম মানুষকে যেমন ধার্মিক করে তোলে ঠিক তেমনি এই জাতি ধর্মই কারণ হয়ে ওঠে মানুষে মানুষে বিবাদের। মানুষে মানুষে যুদ্ধ লাগায় এই ধর্মই । তবে শেখ সারাফুল এবং তার বন্ধুরা মনে করে মানুষই সৃষ্টি করছে এই দ্বন্দ্ব। ঈশ্বর আল্লাহ সবই সমান। তাই নির্দ্বিধায় নিজের হিন্দু বন্ধুদের সাথে তারকেশ্বর যাত্রায় মেতেছে শেখ সারাফুল। কাঁধে বাঁক নিয়ে সেও চলেছে তারকেশ্বরের উদ্দেশ্যে । শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবারে দেবাদিদেব মহাদেবের মাথায় জল ঢেলে মন বাঞ্ছা পূর্ণ করতে ব্রতী সারা ফুল।
0:00-0;16 —0;19
চুঁচুড়া এম জি রোড জেলেপাড়া থেকে কয়েকজন বন্ধু মিলে তারকেশ্বর জল ঢালতে রওনা হয় মঙ্গলবার রাতে।
চুঁচুড়া ষন্ডেশ্বর তলা ঘাট থেকে কলসি করে জল নিয়ে রওনা দেয় রাজু ,অক্ষয় ,সুরাজ প্রসেনজিৎ , বাসুদেব, উদয় ,শেখ সারফুল আলীরা। কেউ কাজ করে রাজমিস্ত্রি, কেউ বিক্রি করে মাছ অথবা সেলসম্যানের কাজ।সবাই মিলেমিশে থাকে তাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই।সারফুলের বন্ধুরা ধর্মে ধর্মে বিভেদ দেখে না।সব ধর্মই তো শান্তির কথা বলে,হিংসার কথা বলে না,বলেন বাসুদেব উদয়রা।
শ্রাবণ মাসে তারকেশ্বরে লাখো ভক্তের সমাগম হয়।পূন্যার্থীরা গঙ্গার ঘাট থেকে জল নিয়ে বাঁকে করে পায়ে হেঁটে তারকেশ্বর যাত্রা করেন। এই শ্রাবণ মাসে পূন্য লাভের আশায় শৈব্য তীর্থে জল ঢালতে চলল।ষন্ডেশ্বর তলা ঘাটে স্নান করে কপালে তিলক কেটে পিতলের কলসিতে জল ভরে শুরু করে পদযাত্রা।আর এই যাত্রা লাঘব করতে শিবের নাম জপ চলে।ভোলে বাবা পার লাগাও,,,বোম বোম তারক বোম,,ভোলে বোম তারক বোম।
এবার সেই যাত্রায় সামিল হয়েছে শেখ সারাফুল। তার এই যাত্রা যে শুধুমাত্র তার মনবাঞ্চা পূর্ন করবে তা নয়, তার এই যাত্রা নতুন ভারত গড়তে সাহায্য করবে, সাহায্য করবে মানুষকে ধর্মনিরপেক্ষতার বার্তা দিতে।
Leave a Reply