অরিজিৎ দীর্ঘায়ু কামনা করতে,
শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার বাবার মাথায় জল ঢাললো ভক্ত ।
একটাই উদ্দেশ্য প্রিয় গায়ক যেন থাকে সুস্থ।
কিলোমিটারের পর কিলোমিটার হেঁটে শিবের মাথায় জল ঢেলেই অরিজিতের বাড়িতে ছুটল এই যুবক।
এই ভক্তের কান্ড দেখলে অবাক হবেন।
0;10-0;26
অরিজিতের লক্ষাধিক ভক্ত রয়েছে গোটা দেশে, কালক্রমে বারংবার দেখা গিয়েছে সেই ভক্তদের উদ্দেশ্যে অরিজিৎকে কখনো মঞ্চ থেকে হাত বাড়িয়ে দিতে কখনো আবার তাদের প্রণাম নিতে। তবে ভক্তদের কাছে অরিজিৎ পরিচিত অত্যন্ত মাটির মানুষ হিসেবেই। তাই অরিজিতের ভক্তের সংখ্যাও অগনিত ।তেমনি এক ভক্ত এবার নিজের প্রিয় গায়কের দীর্ঘায়ু এবং সুস্থ জীবনের কামনা করতে শিবের মাথায় জল ঢাললো । শুধু জল ঢালাই নয় রীতিমতো দন্ডি কাটে সে রাস্তায় শুয়ে।তারপর নবদ্বীপ থেকে সুদূর মুর্শিদাবাদ রওনা দেয় সে অরিজিৎ সিং এর বাড়ির উদ্দেশ্যে।
0;28-0;46
নবদ্বীপের নন্দীপাড়ায় এলাকায় পেশায় ফুল ব্যবসায়ী অতি দরিদ্র ঘরের ছেলে মনিন্দ্র দেবনাথ। নবদ্বীপ চারিচারা বাজারের একটি জায়গায় ফুল বিক্রি করে সে। প্রতিদিন বাজারে আসা মানুষ তার থেকে ফুল কেনে তবে ফুল বিক্রেতা হিসেবে যত না তার পরিচিতি রয়েছে তার চেয়ে বেশি পরিচিতি রয়েছে অরিজিতের পাগল ভক্ত হিসেবে ।
ছোট থেকেই গায়ক অরিজিৎ সিং এর গান শুনেই বড় হয়েছে সে। মনে প্রাণে সে অরিজিতের ভক্ত। জীবনে খুব বেশি চাহিদা তার নেই শুধু একটিমাত্র স্বপ্ন কোনও একদিন অরিজিৎ সিং এর সাক্ষাৎ পাওয়ার। তবে চাইলেই সুরের জাদুকরের সঙ্গে দেখা করতে পারবে না সে, তার নেই পকেটের জোর । যা দিয়ে অরিজিতের দামি দামি কনসার্টে যেতে পারবে সে । সেই কারণে শ্রাবণ মাসে ত্রি শৈব তীর্থের আশীর্বাদ নিয়ে সাইকেলে করে সে চলল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ। যেখানে রয়েছে তার স্বপ্নের গায়ক অরিজিৎ সিং এর বাড়ি। স্বপ্ন, একটিবার তার প্রিয় গায়কের সাক্ষাৎ পাওয়ার।
1;30-1;38
সাইকেলে করে হুগলির তারকেশ্বর, পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর, এবং নদিয়ার শিব নিবাস মন্দিরে দন্ডি কেটে অরিজিৎ সিং এর দীর্ঘায়ু কামনায় তার নামে পুজো দিয়ে সাইকেলে করেই সে চলল অরিজিৎ সিং এর সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে তার বাড়ি মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ এ। তার এই অদম্য উৎসাহ দেখে তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় এলাকার ক্লাব কর্তৃপক্ষের সদস্যরাও। যাওয়ার আগে তাকে সম্বর্ধনা দেয় এবং উৎসাহিত করে তাকে। তাদের বিশ্বাস মনিন্দ্রর স্বপ্ন একদিন সত্যি হবেই।
2:00-2:16 sada jama
Leave a Reply