Arab

আরবের খেজুর এবার হাসনাবাদের মাটিতে।

গ্যারেজ কর্মচারীর প্রচেষ্টায় এবার বিলিতি খেজুর বাংলার মাটিতে।

0;20-0;27 neel

কোনটির দাম ১০০০ তো কোনটির ২৫০০ ।

খেজুর নয় যেন সোনা।

নিজের জমিতে খেজুর চাষ করে তাক লাগলো হামিদ।

015-0;25ghomta

 

 

ছিলেন গ্যারেজের কর্মচারী হলেন চাষী। এক খেজুরের বীজ রাতারাতি তাকে বানালো চাষী। বসিরহাটের সুন্দরবনের হাসনাবাদ ব্লকের পাটলিখানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেনা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হামিদ। তার হাতেই ফলছে আরবের খেজুর। নয় নয় করে তিড়িশটি খেজুর গাছের মালিক তিনি এখন। সবকটি গাছেই রয়েছে সোনার মূল্যে খেজুর।

 

0;00:030 neel chasma

গাড়ির গ‍্যারেজে কাজ করতেন তিনি । বুঝতে পেরেছিলেন এভাবে বউ বাচ্চা নিয়ে বাঁচা দুস্কর । আম্ফানের সময় পরিচিত এক ব্যক্তি আরব থেকে খেজুরের বীজ এনে দিয়েছিলেন তাকে। তিন ধরনের খেজুরের বীজ পেয়েছিলেন তিনি। ওই খেজুর গাছের চারা গুলি পুঁতে ফেলেন নিজের দু কাটা জমিতে।সেগুলি থেকে চারা তৈরি করেছেন হামিদ।এখন শুধু মন দিয়ে খেজুর গাছের চারা তৈরি করছেন। তা থেকে ফলছে খেজুর। তার আশা, এই খেজুরই তাঁর সুদিন ফেরাবে। ইতিমধ্যেই একটি গাছে খেজুর ধরেছে। তা দেখতে অনেকে ভিড় করছেন হামিদের বাড়িতে।

0;00-0;24

 

তিনি জানান, তাঁর কাছে মোরিয়াম, সুক্কার ও আজোয়া তিন প্রজাতির খেজুরের চারা আছে। এই সব জাতের খেজুরের বাজারদর বেশ ভালো। তার দাবি, মোরিয়াম খেজুরের দাম কেজি প্রতি ৫০০ টাকা। সুক্কার প্রজাতির খেজুর বিক্রি হয় ৫০০-৮০০ টাকা প্রতি কেজি দরে। আজোয়া প্রজাতির খেজুরের দাম কেজি প্রতি ৮০০-২৫০০ টাকা। খেজুর গাছের চারা বিক্রির ব্যবসাও শুরু করেছেন হামিদ। বাড়ির ছাদে বহু চারা তৈরি করেছেন তিনি। সেগুলির দাম এক হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা। হামিদ জানান, বিশেষ পদ্ধতিতে মাটি তৈরি করে বীজ রোপণ করতে হচ্ছে।

 

 

হামিদের বিশ্বাস সত্যি সব ঠিক হয়ে যাবে একদিন। এই খেজুর গাছ পারবে দুঃখ মেটাতে। এই খেজুর জীবনে অক্সিজেন জোগাবে নতুন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *