শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবারে বক্রেশ্বরে জেগে উঠল শিব।
অবিশ্বাস্য!
ভক্তদের সাথে নাচতে নাচতে ভগবান শিব ও গেলেন স্বপরিবারে।
শিবের জন্ম মাসে এমন দৃশ্যের সাক্ষী থাকল হাতে গোনা।
বহু তপস্যার পর শিব দিলেন ধরা।
মহাদেব এবং ভক্তরা এক সাথেই অতিক্রম করছে পথ।
শ্রাবণ মাস। শিবের জন্ম মাস। শ্রাবণ মাস এর প্রত্যেক সোমবার ভক্তরা শিবের মাথায় জল ঢালতে কষ্টকর পথ অতিক্রম করার মাধ্যমে পৌঁছে যান শিবধামে। সারা রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা এইসময় সমবেত হন এক স্থানে।
শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার যখন শিবধামগুলিতে উপচে পড়ছে ভক্তদের ভিড়, ঠিক সেই সময় একেবারে আলাদা চিত্র দেখা গেল বীরভূমের (Birbhum) বক্রেশ্বরে (Bakreswar Dham)। যেখানে দেখা গেল বোল বোম ট্রাভেলস নামে একটি সংস্থার বাসে চড়ে খোদ মহাদেব এলেন জল ঢালতে। শুধু মহাদেব নন, পাশাপাশি সঙ্গে ছিলেন দুর্গা, কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী সহ পুরো পরিবার।
বক্রেশ্বর ধামে সোমবার এমনটা সম্ভব হয়েছে মূলত সিউড়ির বড়বাগান এলাকার নিউ স্টার নামে একটি ক্লাবের ভক্তদের কৃপায়। আসলে এখানকার ভক্তদের তরফ থেকে শিবের মাথায় জল ঢালার ক্ষেত্রে অভিনবত্বের ছোঁয়া আনা হয়। যেখানে অন্যান্য ভক্তরা কেউ পায়ে হেঁটে অথবা কেউ বড় বড় মূর্তি নিয়ে বিভিন্ন ধর্ম কেন্দ্রে পৌঁছাচ্ছেন সেই সময় তারা অবিকল বাসের মতো একটি রথ তৈরি করেন। আর সেই রথে বসিয়ে এই নিয়ে যাওয়া হয় শিব সহ পুরো পরিবারকে।
অবিকল বাসের মতো এই রথ সিউড়ি থেকে দড়ি টেনে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় বক্রেশ্বর পর্যন্ত। শিব ভক্তরা দড়ি টেনে টেনে নিয়ে যান। আর ওই বাসের ড্রাইভার হিসাবে বসে থাকতে দেখা যায় স্বয়ং মহাদেবকে। বাসের কন্ডাক্টরের কাজ করেন গণেশ। বাকি অন্যান্য দেবদেবীরা বসেছিলেন বাসের যাত্রী হিসেবে। গত ১০ বছর ধরে এইরকম ভাবেই সিউড়ির বড় বাগানের নিউ স্টার ক্লাবের সদস্যরা শিবের মাথায় জল ঢালতে যান। প্রতিবছর তাদের এই ধর্মযাত্রায় থাকে নতুন নতুন ছোঁয়া।
শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার এমনিতেই সকাল থেকে বক্রেশ্বর ধামে বিপুল সংখ্যক ভক্তদের ভিড় জমতে দেখা যায়। এর মধ্যেই হঠাৎ ওই বাস এসে হাজির হয়। এমন বাস এসে হাজির হতেই সেখানে উপস্থিত থাকা ভক্ত থেকে শুরু করে অন্যান্যরা প্রত্যেকেই ওই বাস দেখতে ভিড় জমান। স্থানীয় মানুষজন এবং ভক্তরা জানিয়েছেন, শিবের মাথায় জল ঢালতে আসার ক্ষেত্রে এর আগে তারা অনেক ধরনের কারুকার্য দেখেছেন কিন্তু বাসে চড়ে পরিবার সহ শিব ঠাকুরকে এইভাবে জল ঢালতে আসা তারা প্রথম দেখলেন।
Leave a Reply