তৃণমূলের জেতা ম্যাচ নিয়ে বেরিয়ে গেল বিজেপি।
শেষ মুহূর্তে এসে বিজেপির চালে কুপোকাত তৃণমূল।
বোর্ড গঠন করেও করা হলো না তৃণমূলের।
হাত না মিলাতেই সিপিএম বিজেপির আদর্শ নিয়ে কটাক্ষ।
বর্তমানে রাজনীতি এমন এক পর্যায়ে এসে উপনীত হয়েছে যেখানে কোন দলের কি নীতি এবং কি আদর্শ তা তারা নিজেও বোধহয় ভুলে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে যে দল যে দলের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে না স্বাভাবিকভাবেই চক্ষু সুল হচ্ছে একে অপরের এবং একে অপরের নীতি আদর্শ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তারা নিজেরাই। নির্বাচনে যেমন একচেটিয়া রাম বাম জোট দেখা গিয়েছে, তেমন শাসক দল তৃণমূলের সাথেও তো হাতে মিলিয়েছে নির্দল এবং সিপিএম বোর্ড গঠন করতে । সেক্ষেত্রে কাকে নীতি আদর্শ ভুলতে হয়েছে সে প্রসঙ্গে না যাওয়াই শ্রেয়।
তবে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করবার জন্য দুটি তিনটি ভিন্ন দল একসঙ্গে হাত মেলানো কোন নতুন বিষয় নয়। কুশমন্ডি ব্লকের ৩ নং উদয় গ্রাম পঞ্চায়েত তার ব্যতিক্রম নয় এখানে বোর্ড গঠন করতে একসাথে হাত মিলিয়েছে রাম বাম নির্দল।
0:00-0:20
গত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলে ২৪ আসন বিশিষ্ট ৩নং উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেস পায় ১১টি আসন, বিজেপি পায় ৮টি আসন, আর.এস.পি পায় ১টি আসন, সি.পি.আই(এম) পায় ৩টি আসন ও নির্দল পায় ১টি আসন। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর রাজনৈতিক মহলের একাংশ অনুমান করেছিল নীতিগত দিক থেকে বামফ্রন্ট ও বিজেপির মধ্যে জোট হওয়ার সম্ভাবনা না দেখা দেওয়ায় এই পঞ্চায়েত হয়ত তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে যেতে চলেছে। যদিও বৃহস্পতিবার উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের সময় বিজেপির টিকিটে জয়ী প্রার্থীরা নির্দল ও বামফ্রন্টকে সমর্থন করায় উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান নির্বাচিত হন নির্দলের সাবিত্রী হেমব্রম এবং উপপ্রধান নির্বাচিত হন আর.এস.পি-র বিশ্বনাথ রায়।
0;20-0;39 few sec
Mohila
যথারীতি নিজেদের জেতা ম্যাচ হাত থেকে বেরিয়ে যেতেই বেজায় ক্ষিপ্ত হয়েছে তৃণমূল ।নির্দল ,বামেরা বিজেপির সাথে হাত মেলাতেই তাদের নীতি এবং আদর্শ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার তোপ দেগেছেন। দূরাভাষে মৃণাল সরকার বলেন ওদের কোন নীতি নেই, রাম-বাম জোট ঘোট এটা তো আমরা বলি, সেটার দৃষ্টান্ত দেখালো উদয়। তিনি আরও বলেন বিজেপির বিরুদ্ধে বামেদের লড়াই লোক দেখানো – আসলে রাম-বাম এক।
Leave a Reply