কোলের ছেলে চলে গিয়েছে না ফেরার দেশে।
চাইলেও আর কোনদিনও বাড়ি ফিরবে না স্বপ্নদ্বীপ।
ছেলেকে হারিয়ে কেমন আছেন স্বপ্নদ্বীপের মা?
কেমন আছে তার পরিবার?
মৃত্যু বড় আকস্মিক .।নির্দিষ্ট বয়সের পর মৃত্যু যতখানি স্বাভাবিক ,বয়সের আগে মৃত্যু ততখানি অপ্রত্যাশিত। তাও যদি হয় তা রহস্যজনক প্রতিবছরই প্রায় লক্ষ লক্ষ পড়ুয়া নিজের শহর ছেড়ে নিজের বাড়ি ছেড়ে ভিন্ন জায়গায় আসে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে হাসখালি স্বপ্নদ্বীপ ছিল তাদের মধ্য থেকেই একজন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পড়তে এসেছিল তবে কে জানতো ভাগ্যের খেলে তার মৃতদেহ পাওয়া যাবে বিশ্ববিদ্যালয় নিচ থেকে।
জানা যায় ৩ আগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয় স্বপ্নদ্বীপ। সেখানে ভর্তির পর গত রবিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে ছেলেকে রেখে আসেন বাবা রামপ্রসাদ বাবু। কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয় সমস্যা। যদিও সে কথা প্রথমেই বাড়ির লোককে জানায়নি ন জানাই স্বপ্নদ্বীপ
বগুলার কলেজ পাড়া এলাকায় স্বপ্নদীপের বাড়ি। বাবা রামপ্রসাদ কুন্ডু গাজনার একটি সমবায় ব্যাংকে চাকরি করেন। মা স্বপ্না কুন্ডু বগুলা গ্রাম পঞ্চায়েতের আশা কর্মী। সকলে জানতো ছেলে ভালো আছে তবে বৃহস্পতিবারের সেই সকাল পাল্টে যায় তাদের জীবন । বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় গ্রিলে তালা ঝুলছে। রানাঘাটের মিলপাড়া এলাকায় স্বপ্নদীপের মামা অরূপ কুন্ডুর বাড়িতে ছিলেন মা স্বপ্না দেবী। তখনও জানতেন না কোলের ছেলেটা আর ঘরে ফিরবে না। হোস্টেল থেকে খবর পাওয়া মাত্রই ভোরবেলা যাদবপুরের কেপিসি হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন রামপ্রসাদ বাবু। তারপরের ঘটনা সকলের জানা।
চিরতরে হারিয়ে গিয়েছে ছেলে । হাজার চেষ্টা করলেও ফিরবেনা সে আর। এখন এ কথা ভালো মতো বুঝে গিয়েছে স্বপ্নদ্বীপের মা । তাই কান্না থামছে না তার । থামছে না তার বুক ফাটা চিৎকার । ছেলেকে হারিয়ে সে আজ সর্বশান্ত।
Leave a Reply