Hotel

হোটেল কর্মী থেকে কোটিপতি! 

ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে কোটি টাকার স্বপ্ন হল সত্যি। 

লটারি কেটে কোটিপতি যুবক 

একেই বলে ভাগ্য বদল। 

 

 

বীরভূমের যুবকের রাতারাতি ভাগ্য বদলালো লটারি

 

ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখপতি হওয়ার স্বপ্ন অনেকেই দেখেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন সবার তো আর পূরণ হয় না। যদিও লাখপতির বদলে কোটিপতি হয়ে সেই স্বপ্নপূরণ হল বীরভূমের এক যুবকের। ওই যুবকের এমন স্বপ্নপূরণ করল লটারি (Lottery)। ওই যুবক একজন হোটেল কর্মী এবং লটারির দৌলতে রাতারাতি তিনি কোটিপতি হয়ে দাঁড়ালেন। এই ঘটনা তার কাছে অলীক স্বপ্নের মতই।

 

হোটেল কর্মী থেকে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে ওঠা ওই যুবক হলেন বীরভূমের সাঁইথিয়া পৌরসভার অন্তর্গত ছয় নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তার নাম আদিত্য মন্ডল। এলাকায় তিনি গোলাপ নামেই পরিচিত। হোটেলে কাজ করার পাশাপাশি রোজগারের তাগিদে ওই যুবক মাঝে মধ্যে ঠেলাগাড়িতে করে খাবারও বিক্রি করতেন। তবে তার এই কষ্টের জীবন মাত্র কয়েক মুহূর্তে বদলে যাবে তা কেইবা জানত! কেননা এখন ওই যুবক কড়কড়ে এক কোটি টাকার মালিক।

 

আদিত্যর রাতারাতি এমন ভাগ্য বদলে দিয়েছে ডিয়ার লটারি (Dear Lottery)। দুদিন আগে লটারিতে এইভাবে টাকা জেতার খবর জানতে পেরেই আদিত্য প্রথমেই ছুটে যান সাঁইথিয়া থানায়। পুলিশের সহযোগিতা চাইলে পুলিশের তরফ থেকে তাকে পরামর্শ দেওয়া হয় এবং জানানো হয় কিভাবে সেই লটারির টাকা পাবেন। এরপরই টাকা পাওয়ার জন্য আদিত্য যা যা করণীয় সেই কাজ সেরে ফেলতে ব্যস্ততা শুরু করেছেন।

 

আদিত্য মন্ডল এই প্রথম লটারির টিকিট কেটেছেন এবং পুরস্কার পেয়েছেন এমন নয়। তার থেকে জানা গিয়েছে, তিনি অনেকবার লটারি টিকিট কেটেছেন এবং এর আগেও অনেকবার পুরস্কার পেয়েছেন। পুরস্কারের ঝুলিতে কখনো তার পকেটে এসেছে ৪৫০০০ টাকা আবার কখনো এসেছে ৯০ হাজার টাকা। এমনকি তিনি নিজের কাছে টাকা না থাকলেও পরের কাছে টাকা ধার করে লটারি টিকিট কাটতেন।

 

লটারির টিকিট কেটে এর আগেও একাধিকবার পুরস্কার পেলেও কোন বার তিনি এইভাবে প্রথম পুরস্কার অর্থাৎ এক কোটি টাকা জেতেন নি। এই প্রথম তার কপালে এক কোটি টাকার পুরস্কার এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই এই পুরস্কার তার জীবনে আমূল পরিবর্তন এনে দিয়েছে এবং তিনি ও তার পরিবার প্রতিবেশীরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠেছেন। জানা যাচ্ছে, আদিত্যই হলেন পরিবারের একমাত্র রোজগেরে। তার সংসারে মা এবং স্ত্রী ছাড়াও রয়েছেন বোন এবং দুই সন্তান। এখন এই টাকা দিয়ে তিনি এবং তার পরিবারের সবার স্বপ্ন পূরণ করতে চান। তার বড় ব্যবসা খোলার ইচ্ছে রয়েছে এবং বাকি টাকা পোস্ট অফিসে সেভিংস করার ইচ্ছে রয়েছে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *