Bonde

বন্দে ভারতের বাথরুমে বসে সুখটান

বিনা টিকিটে সুখটান দিতে বন্দে ভারতের বাথরুমে!

হুলস্থুলু কান্ড !

এক ব্যক্তির কান্ডে গোটা ট্রেনযাত্রা মাথায় উঠলো মানুষের।

বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে দ্রুতগামী ট্রেন বন্দে ভারত একাধিকবার খবরের শিরোনামে এসেছে। ভারতীয় রেলের (Indian Railways) তরফ থেকে যাত্রীদের জন্য এই ট্রেনটি চালু করার পর থেকেই সাধারণ মানুষদের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল দেখা যায়। এরই মাঝে কখনো ট্রেনের জানালার কাঁচে ঢিল ছোঁড়া, কখনো ট্রেনের ধাক্কায় গরু মারা যাওয়া ইত্যাদির কারণে ট্রেনটিকে শিরোনামে আসতে দেখা যায়। আবার এই ট্রেন এমন সব কারণেও শিরোনামে এসেছে যা কখনো ভাবাই যায় না।

বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন শিরোনামে এসেছে এই ট্রেনে প্রস্রাব করতে গিয়ে কোন ব্যক্তির ছয় হাজার টাকা গানা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে। আবার এই ট্রেনটি সম্প্রতি শিরোনামে এসেছে এক ব্যক্তির বাথরুমে ঢুকে বিড়িতে সুখটান দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে। বন্দে ভারতের বাথরুমে ঢুকে বিড়িতে সুখটান দেওয়ার এমন ঘটনাটি ঘটে দিন দুয়েক আগে। যে ঘটনায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এবার ওই ঘটনার পুরো ভিডিও সামনে এলো।

রেলের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, তিরুপতি থেকে সেকেন্দ্রাবাদ গামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে এমন ঘটনা ঘটে। ওই ট্রেনটি তিরুপতি থেকে ছাড়ার পর সবে গুডুর রেলস্টেশন পেয়েছে অমনি এক ভয়ংকর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো যে ব্যক্তির জন্য এত আতঙ্ক ছড়ায় ওই ব্যক্তিটি বিনা টিকিটেই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে চড়েছিলেন। তিরুপতি থেকে চড়ার পর গুডুর রেল স্টেশন পার হতেই তিনি বাথরুমে ঢোকেন এবং দরজা বন্ধ করে দেন।

বাথরুমের দরজা বন্ধ করার পর তিনি বাথরুমের ভিতর একটি বিড়ি ধরান। এমনিতে বহু মানুষেরই ট্রেনের ভিতর বিড়ি খাওয়ার জন্য বাথরুমকে বেছে নিতে দেখা যায়। কিন্তু তিনি কখনো ভেবে উঠতে পারেননি যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে রয়েছে অত্যাধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বাথরুমে ঢুকে বিড়ি ধরানোর সঙ্গে সঙ্গে ধোঁয়া নির্গত হতেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সক্রিয় হয়ে যায় অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা। সঙ্গে সঙ্গে বেজে উঠে ফায়ার অ্যালার্ম। বগির মধ্যে অ্যারোসল স্প্রে শুরু হয়ে যায়।

এসব দেখেই যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং বন্দে ভারতের প্রতিটি কামরায় থাকা ফোন থেকে তড়িঘড়ি যাত্রীরা গার্ডকে বিষয়টি জানান। রেল কর্মীরা ট্রেনে আগুন লেগেছে ভেবে তড়িঘড়ি অগ্নি নির্বাপক সব যন্ত্র এনে আগুন নেভানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন মানুবুলু স্টেশনের কাছে। এরপর উদ্ধার কার্যের জন্য বাথরুমের জানলা ভেঙ্গে দেওয়া পর্যন্ত দেওয়া হয়। আর এত কান্ড করার পর যখন ওই ব্যক্তি ধরা পড়েন তখন দেখা যায় তার বিড়ির জন্যই এমন কাণ্ড। পরে আবার জানা যায় তার কাছে কোন টিকিটই ছিল না।