বিজেপির এক চালেই কুপোকাত তৃণমূল।
সিপিএম এর সাথে বন্ধুত্ব করে তৃণমূলকে
ল্যাজে গোবরে করল পদ্ম শিবির।
বিজেপি এবং সিপিএম কে নিয়ে তৈরি হল পঞ্চায়েত!
0;00-0;26
রাজনীতি সব পারে , বন্ধুকে শত্রু করতে । আবার শত্রুকে বন্ধু করতে ।তবে রাজনীতিতে শত্রুর শত্রু বন্ধু সেই তত্ব বরাবরই পরিচিত। এবার সেই তত্বেই জলপাইগুড়ি ধুপগুড়ি ব্লকের সাঁকোয়াযারা গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করল বিজেপি। বিজেপির এক চালেই জিতেও হেরে গেল তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে নতুন রেকর্ড, এক যোগে উড়ল লাল কমলা আবির।
এই গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ১৯। যার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ৯ টি আসন, বিজেপি পেয়েছে ৯টি আসন , বাকি একটি আসন সিপিআইএমের দখলে। এই অঞ্চলে বোর্ড গঠনের জন্য ম্যাজিক ফিগার ১০ আর।যে ম্যাজিক ফিগার গঠন সম্ভব একমাত্র সিপিএম প্রার্থী আপোষ করলে।যথারীতি শুরু থেকেই সিপিএমের এই প্রার্থী প্রফুল্ল রায় কে নিয়ে শুরু হয় টানাপোড়েন ,কারণ একমাত্র তার সমর্থনেই পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন সম্ভব। যথারীতি শুরু থেকে সিপিএমের এই জয়ী প্রার্থীর পায়া ভারী হতে শুরু করে। কে পাবে তার সমর্থন? এই নিয়ে চলে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ.। তারপর থেকে অনেক টানা পড়েন চলে তৃণমূল এবং বিজেপির। অবশেষে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সিপিআইএম প্রার্থী প্রফুল্ল রায় বিজেপিকে সমর্থন করায় ,গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে লাল-গেরুয়া শিবির।
যার ফলে পঞ্চায়েত প্রধান হলো সিপিএম প্রার্থী প্রফুল্ল রায় এবং উপপ্রধান হলো বিজেপির সম্পা রায়।
0;16-0:29 pink
পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের এমনই ছবি অবাক করেছে সাধারণ মানুষকে। যে রাজনৈতিক দলগুলি দুদিন আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে ছিটিয়েছে কাদা। তারাই এখন হাত মিলিয়েছে গঠন করতে পঞ্চায়েত। যদিও গ্রাম পঞ্চায়েত গঠনের পর লাল গেরুয়া আবির খেলা দেখে বোঝা মুশকিল তারা আদতে ভিন্ন দল ,তাদের নীতি আদর্শ ভিন্ন ভিন্ন ,অন্যদিকে সিপিএমের এই প্রার্থী বিজেপিকে সমর্থন করতেই এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের দেখা মেলা দায় হয়েছে।
Leave a Reply